Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেষ হলো জলবায়ু সম্মেলন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ১০:০৬ এএম

অবশেষে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ধরিত্রী রক্ষায় একমত বিশ্বনেতারা। কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন তারা। আর এর মাধ্যমে শেষ হলো স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় দুই সপ্তাহ ধরে চলা বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬।

এবারের সম্মেলন ঘিরে শেষ মুহূর্তে চুক্তি সম্পন্ন হলেও জলবায়ু সংকট নিয়ে কতগুলো ইস্যু অমীমাংসিত রয়েই গেছে। তাছাড়া জলবায়ুর বিপর্যয় ঠেকাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখার অঙ্গীকার করলেও তা কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব তা নিয়ে সন্দিহানও বিশ্লেষকরা।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে জলবায়ু সম্মেলনের সভাপতি অলোক শর্মা এক সংবাদ সম্মেলনে একে ‘ঠুনকো বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাকে অনেকটা আবেগপ্রবণ হতে দেখা যায় এসময়। তবে বিশ্বের দুইশটি দেশের কার্বন নিঃসরণ কমানো, জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এবং সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি রোধ করতে একমত পোষণের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি।

অলোক শর্মা বলেন, কঠিন কাজ এখন শুরু হলো। আমরা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখার লক্ষ্য টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। তবে চুক্তিতে শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আহ্বান জানায় ভারত ও চীন। তাদের পক্ষ থেকে কয়লার ব্যবহার ‘ফেজ আউটের’ পরিবর্তে ‘ফেজ ডাউন’ করার কথা বলা হয়। শেষ পর্যন্ত তা অনুমোদন পেলেও অনেক দেশ এতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।

এদিকে সম্মেলনে অংশ নেওয়া ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর প্রধানরা দাবি মেনে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, ধনী দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক জলবায়ু তহবিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। আগামী বছর জাতিসংঘ কমিটির অগ্রগতি নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে ২০২২, ২০২৪ ও ২০২৬ সালে সরকারগুলোর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠানে ওপর জোর দেয় যুক্তরাজ্য।

অন্যদিকে গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস। তারা বলছে, চুক্তিটিতে কেবল ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার লক্ষ্য টিকিয়ে রাখা হলো। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও চুক্তি প্রসঙ্গে বলেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ তবে তা যথেষ্ট নয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অংশ নিয়েছিলেন বহুল আলোচিত এই সম্মেলনে। সেখানে তিনি বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনে ভয়াবহ ক্ষতির হুমকিতে থাকা ৫৫টি দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামেরও নেতৃত্ব দেন। বিবিসির চোখে, কপ২৬ সম্মেলনে শীর্ষ প্রভাব বিস্তারকারীদের একজন ‘বিপদগ্রস্তদের কণ্ঠস্বর’ শেখ হাসিনা

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ