মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জলবায়ু সঙ্কট নিয়ে বৈশ্বিক কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন পরিবেশকর্মীরা। বৈশ্বিক জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপের দাবিতে শনিবার বৃষ্টির মধ্যেও বিক্ষোভ চালিয়ে যান তারা। তাদের অভিযোগ, জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে জরুরি পদক্ষেপের ঘাটতি রয়েছে।
প্যারিস থেকে সিডনি, নাইরোবি থেকে সিউল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কয়েক ডজন শহরেও গতকাল বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের দরিদ্র দেশগুলোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। গ্লাসগো শহরে বিক্ষোভ আয়োজক ও পুলিশ বলেছে, তারা কপ ২৬ সম্মেলন কেন্দ্রের আশপাশে ৫০ হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হতে পারে বলে ধারণা করেছিল। বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি থেকে ২ ডিগ্রির মধ্যে সীমিত রাখার বিষয়টি টিকিয়ে রাখতে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা গ্লাসগো সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। ১২ দিনের কপ সম্মেলনের ইতিমধ্যে অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কয়েকটি দেশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর অঙ্গীকারে সই করেছে। কয়লার ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার জন্য পৃথক চুক্তিসহ মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কমানো ও জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধের অঙ্গীকার করেছে কয়েকটি দেশ।
জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে গ্লাসগোতে বিক্ষোভ করেন হাজারো মানুষ। এদিন বিক্ষোভে যোগ দেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। বিক্ষোভে অংশ নেয়া হাজারো মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, কপ-২৬ সম্মেলন যে ব্যর্থ, তা আর অজানা কিছু নয়। এটিকে এখন আর জলবায়ু সম্মেলন বলা যায় না; বরং এটি পরিবেশ রক্ষার নামে লোকদেখানো উৎসব ছাড়া কিছুই নয়। জলবায়ু সম্মেলনকে সবুজ মুছে ফেলার উৎসব বলেও কটাক্ষ করেন গ্রেটা।
কপ ২৬ সম্মেলনের শুরুতে শতাধিক দেশের উচ্চপর্যায়ের নেতারা এই দশকে মিথেন নিঃসরণ অন্তত ৩০ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা দীর্ঘ মেয়াদে কমানো সম্ভব হবে না। পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, দূষণকারী ধনী দেশগুলো বরাবরই তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ। সূত্র: এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।