মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসংঘের আয়োজনে বৈশ্বিক আবহাওয়া সম্মেলনে এতদিন ধরে উপক্ষিত ছিল পারমাণবিক জ্বালানি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্তরা। তবে এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় এবার চলমান আবহাওয়া সম্মেলন কপ ২৬-এর আলোচনার টেবিলে তাদের স্বাগত জানানো হয়েছে। এর ফলে আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক জ্বালানির পালে নতুন করে হাওয়া লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) মহাপরিচালক মারিয়ানো গ্রোসি শনিবার এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনার প্রক্রিয়ার একটি অংশ পারমাণবিক জ্বালানি। একে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।’ কপ২৬-এ অংশ নিয়েছেন ক্যালাম থমাস। পারমাণবিক জ্বালানি খাতে একটি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান তিনি। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে প্যারিস আবহাওয়া সম্মেলনেও মনে করা হয়েছিল, পারমাণবিক জ্বালানির প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখন অনেক দেশ এই জ্বালানিতে ঝুঁকছে। বিশেষত গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে। তাই হাওয়া বদলাতে শুরু করেছে।’
মারিয়ানো গ্রোসি বলেন, ‘গ্লাসগোয় পারমাণবিক জ্বালানি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্তদের শুধু স্বাগত জানানো হয়নি বরং এ খাত নিয়ে আগ্রহ কয়েক গুণ বেড়েছে। আগে ৪০ বছর মেয়াদে একেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নেয়া হতো। এখন এর মেয়াদ ৬০ থেকে প্রায় ১০০ বছর করা হচ্ছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ পরিচ্ছন্ন ও লাভজনক বিবেচিত হচ্ছে।’ চেরনোবিল ও ফুকুশিমা দুর্ঘটনার স্মৃতি বিশ্ববাসীর সামনে রয়েছে। এমনকি পারমাণবিক জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা ঘাটতি ও বিপুল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা নিয়েও সমালোচনা রয়েছে। এরপরও আবহাওয়া পরিবর্তন রোধে দ্রুত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসার বিকল্প হিসেবে এখন আলোচনা হচ্ছে পারমাণবিক জ্বালানি নিয়ে। তবে জার্মানি ও নিউজিল্যান্ড পারমাণবিক জ্বালানির বিকাশের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা বড় প্রকল্পগুলো গুটিয়ে নিয়ে ছোট ছোট পারমাণবিক রিয়্যাক্টর চালু করছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ফরাসি জ্বালানি জায়ান্ট ইডিএফের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে ভারত।
এদিকে রোববার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আবহাওয়া পরিবর্তন রোধে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জনের কার্যকর উপায় খুঁজতে চলমান কপ ২৬-এর আলোচকদের আরও ঐক্যবদ্ধ ও সুনির্দিষ্ট পন্থায় আলোচনা এগিয়ে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে জলবায়ুবিষয়ক প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখাতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান বরিস জনসনের। তিনি বলেন, ‘কপ ২৬ শেষ হতে সপ্তাহখানেক বাকি। এ সময় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ, কার্বন নিঃসরণ কমানো, বন ধ্বংস ঠেকাতে সবাইকে এক হতে হবে।’ সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।