Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তাইওয়ানকে ভুল বার্তা দেবেন না : চীন

যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকবে অস্ট্রেলিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তিকে কোনোভাবেই ভুলবার্তা দিতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তিকে সমর্থন করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছেন, ওয়াশিংটন তাইপেকে ‘ভুল বার্তা’ দিচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সোমবারের ভার্চুয়াল বৈঠকের আগেই এমন হুঁশিয়ারি এলো বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে। শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক। যদিও প্রতিবদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। সম্প্রতি তাইওয়ানে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সফর এবং তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে বেইজিংয়ের যুদ্ধবিমান পাঠানোকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ওই অঞ্চলে। চীন চলতি বছর ধারাবাহিকভাবে রেকর্ড সংখ্যক যুদ্ধ বিমান পাঠানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাইপে। তবে যেকোনও আক্রমণ থেকে তাইপেকে রক্ষা করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাই্ওয়ানকে নিজেদের স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ বলে দাবি করে আসছে বেইজিং। দ্বীপটির স্বাধীনতাপন্থীদের উসকানি না দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে আসছে দেশটি। এরপরও তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। অপরদিকে, তাইওয়ানকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিটার ডাটন। শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য অস্ট্রেলিয়ান নিউজপেপারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি বলেন। ডেইলি মেইল। অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদত্রে এক সাক্ষাৎকারে পিটার ডাটন বলছেন, ওয়াশিংটন যদি তাইওয়ানকে রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নেয় তবে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ না দেওয়া ‘অচিন্তনীয়’ হবে। এর আগে বুধবার, ১০ নভেম্বর, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, চীন যদি তাইওয়ানের স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে শক্তি প্রয়োগ করে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের এ ব্যাপারে খুব খোলামেলা এবং সৎ হওয়া উচিত। প্রাক প্রতিশ্রুতি ছাড়াই সব ঘটনা এবং পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া উচিত। ডাটন আরও বলেন, তাইওয়ানে চীনের অভিপ্রায়ের ব্যাপারটি খুবই স্পষ্ট এবং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সেখানে একটি উচ্চ স্তরের যুদ্ধ প্রস্তুতি রয়েছে। একটি বৃহত্তর প্রতিরোধের মনোভাব আমাদের রয়েছে। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজেদের প্রদেশ হিসেবে দাবি করে। এই দাবি শক্তিশালী করতে তাইওয়ানের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেছে দেশটি। কিন্তু একসময়ের সার্বভৌম দেশ তাইওয়ান বরাবরই চীনের এই দাবি অস্বীকার করে। রয়টার্স, ডেইলি মেইল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ