মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চলতি নভেম্বর মাসের শুরু থেকে দিল্লির বাতাস যেন আরও ভারী হয়ে উঠেছে। দিনের বেলায় যেন ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছে রাজধানীজুড়ে। দিনের আলোয় এই রাজধানী শহরের আকাশ দেখে মনে হবে ঘন-কুয়াশায় ছেয়ে গেছে। সহসাই এই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না বলে আভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির বায়ু মান সূচক আরও কিছুটা বেড়ে শুক্রবার বিকেল ৪টা নাগাদ দাঁড়ায় ৪৭১।
অতিরিক্ত দূষণের ফলে সব সরকারি ও বেসরকারি অফিসের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
শহর থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার প্রস্তাবও করেছে এই সংস্থাটি। এছাড়া খুব প্রয়োজন না পড়লে বাইরে বেরোতেও নিষেধ করা হয়েছে শহরের বাসিন্দাদের।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পূর্বাভাস, বাতাসের বেগ যদি কম থাকে, তা হলে ১৮ নভেম্বরের আগে দিল্লির বায়ু মান সূচক নামার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। প্রতি বছরই দীপাবলির পর ১ নভেম্বর থেকে ১৫ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় দিল্লিতে। বাজি পোড়ানো তো বায়ুদূষণের অবশ্যই বড় কারণ। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাতাস বিষাক্ত হয়ে ওঠার মূলে থাকে পড়শি রাজ্যের কৃষি জমিতে খড়বিচালি পোড়ানো। প্রতি বছরই শীত আসার আগে সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে নতুন ফসল ওঠার সময় পর্যন্ত খেতখামারে শুকনো খড়বিচালি পুড়িয়ে দেন চাষিরা। এই রকম প্রায় চার হাজারেরও বেশি কৃষি জমিতে খড়কুটো পোড়ানোর ধোঁয়া দিল্লির দিকে চলে আসায় পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয় বলে জানাচ্ছে পর্ষদ।
এদিকে নয়াদিল্লি সংলগ্ন যমুনা নদী প্রতি বছরের মতো এবারও বিষাক্ত ফেনায় ঢেকে গেছে। স্থানীয় মানুষ এই বিষাক্ত পানি নিয়ে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। দূষণের কারণে যমুনায় পানি চোখে পড়ছে না, শুধু বিশাল আকারের সাদা ফেনা ভাসতে দেখা যাচ্ছে।
পরিবেশকর্মীরা জানান, যমুনার পানিতে অ্যামোনিয়া ও ফসফেটের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। এছাড়া কল-কারখানার বর্জ্য পদার্থ যমুনা নদীর পানিতে অত্যধিক পরিমাণে মিশে যাওয়ার ফলেই দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সেই কারণেই এরকম ফেনা দেখা যাচ্ছে।
নদীর পানির দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয় অ্যামোনিয়া দিয়ে। গত শনি ও রবিবার যমুনায় অ্যামোনিয়ার মাত্রা ছিল দুই দশমিক দুই পিপিএম।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ছট পূজার প্রথম দিনে যমুনার দূষিত পানিতেই পূণ্যস্নান সেরেছেন পূজারিরা। পূজারিরা যমুনা নদীর পানিকে পবিত্র মনে করেন। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।