বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদরীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। গতকাল বুধবার কালকিনি উপজেলার চরদৌলতখান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন। সকালে চরদৌলতখান ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে সংঘর্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী মিলন মিয়ার চাচাতো ভাই আলমগীর প্যাদা, ভাতিজা অপু প্যাদা ও সমর্থক রিপন মোল্লাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এই নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সকালে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চাঁনমিয়া শিকদার ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অর্ধশত ককটেল ও হাতবোমা বিম্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এসময় উভয়পক্ষের আহত হয় অন্তত ২৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনাস্থলে র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আসিফ ইয়াজদানী বলেন, হামলায় অন্তত ১০ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। বোমা হামলায় তাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মিয়া বলেন, চাঁন মিয়ার নির্দেশে প্রথমে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। টার্গেট ছিল আমাকে হত্যা করা। বাড়িতে হামলা পরে আমাদের লোকজন ধাওয়া দিয়ে নৌকার সমর্থকদের মাথাভাঙ্গা এলাকায় নিয়ে যায়। সংঘর্ষে আমাদেরই লোকজন আহত বেশি হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চাঁনমিয়া শিকদার বলেন, নির্বাচনী এলাকায় মিলন নিজের প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রথমে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে আমার নেতা-কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
এ সম্পর্কে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আশফাক বলেন, দু’পক্ষের মধ্যেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে আরে আরও আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। নির্বাচনে দু’জন আবার চেয়ারম্যান প্রার্থী। ভোটের আগে দু’জনই এলাকায় আধিপত্য দেখানোর জন্য তাদের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কিছু ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা বেশি খারাপ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৮ জনকে আটক করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।