মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফাল জেট কেনা নিয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছে ভারত। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বহুদিন ধরেই রাফাল দুর্নীতি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করছিলেন। এবার ফরাসি নিউজ পোর্টালের খবরকে কেন্দ্র করে বিজেপিও কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে।
অভিযোগ, ভারত সরকারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে বিপুল পরিমাণ ঘুষ দেওয়া হয়েছিল রাফাল কেনাবেচার জন্য। শেল অ্যাকাউন্টে সেই টাকা দিয়েছিল ভারত সরকার। ফ্রান্সের একটি সংবাদমাধ্যম নতুন এই অভিযোগ সামনে এনেছে। বিরোধী দল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে সরব হলেও এখনো পর্যন্ত সরকার এবং বিজেপির তরফে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ফ্রান্সের একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়ছিল, এই চুক্তির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীকে ১০ লাখ ইউরো বা নয় কোটি টাকা 'উপহার' দেয়া হয়েছিল। তারপরেই ফ্রান্সের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা এর তদন্তের জন্য এক বিচারককে নিয়োগ করেছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম মিডিয়াপার্ট সম্প্রতি তথ্যপ্রমাণ দিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হচ্ছে, ফ্রান্সের সংস্থার কাছ থেকে রাফাল কেনার সময় এক ভারতীয় দালালের মাধ্যমে ভারত সরকার চুক্তি করেছিল। মধ্যস্থতাকারী ওই ব্যক্তির নাম সুষেণ গুপ্ত। মধ্যস্থতা করার জন্য ভারত সরকার তাকে ৭৫ লাখ ইউরো বা ৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা দিয়েছিল। যা ঘুষ বা কাটমানি হিসেবেই ধরতে হবে। যে পদ্ধতিতে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে, তা-ও বেআইনি বলে অভিযোগ। রিপোর্টের দাবি, সুষেণ এর আগেও অগুস্তার কাছ থেকে হেলিকপ্টার কেনার সময় একইভাবে কাটমানি নিয়েছিল। সে সময় মরিশাসে একটি শেল কোম্পানি তৈরি করে তার মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন হয়েছিল। এবারেও শেল কোম্পানির মাধ্যমেই টাকার লেনদেন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ওই শেল কোম্পানি নকল ইনভয়েস, চালান পর্যন্ত তৈরি করেছিল। যেখানে তারা অন্য কারণে ভারত সরকারের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে বলে দেখানো হয়েছিল।
মিডিয়াটি দাবি করেছে, ২০১৮ সালেই এসমস্ত তথ্য ইডি এবং সিবিআইয়ের হাতে এসেছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত এগোয়নি।
অগুস্তা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এক সময় অগুস্তার মূল কোম্পানি ফিনোমেকানিকাকে ভারতে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তাকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে অগুস্তার সমস্ত কালো ধুয়ে গেছে। এবার নতুন করে সেই বিতর্ক শুরু করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'এর আগে অগুস্তা ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত, বিজেপির লন্ড্রিতে কেচে তার সব ময়লা উঠে গিয়েছে!' অন্যদিকে, কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার বক্তব্য, ‘বিজেপির সঙ্গে অগুস্তা ও ফিনোমেকানিকার কী বোঝাপড়া হয়েছে, সেটা প্রকাশ্যে আনতে হবে।’ সূত্র : পিটিআই
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।