মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার কলকাতার রাস্তায় এক যুবকের বুকের উপর পা তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল পুলিশকে। রোববার সন্ধার এ ঘটনায় স্তম্ভিত মহানগরী। ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন কমিশনার। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার ব্যস্ত এলাকা রবীন্দ্রসদন এক্সাইড মোড়ে।
জানা গেছে, সেখানে এক যুবককে রাস্তায় ফেলে প্রথমে মারা হয়। তারপর তার বুকের উপর পা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে এক পুলিশকর্মী। সবুজ রঙের জামা পরিহিত ওই পুলিশকর্মী পুলিশের ভাষায় সিভিক ভল্যান্টিয়ার বা গ্রিন পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ ওই অবস্থায় যুবককে রাস্তায় ফেলে রাখে সে। পাশে অন্য পুলিশকর্মীরা থাকলেও ওই সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে বাধা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই দৃশ্যের সঙ্গে আমেরিকায় জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনার তুলনা টানা হয়েছে। জর্জ ফ্লয়েড অবশ্য মারা গিয়েছিলেন। কলকাতার যুবক বেঁচে আছেন। রোববার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় লালবাজার। পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র রাতে বলেন, ‘আমি ঘটনাটি দেখে বিব্রত। দুঃখ প্রকাশ করছি। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে ওখানে ডিউটিতে থাকা সমস্ত অফিসারদের সোমবার সকালে আমার অফিসে ডেকে পাঠিয়েছি। তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কী করে এই অমানবিক ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাওয়া হবে।’
অভিযুক্ত গ্রিন পুলিশ তন্ময় বিশ্বাস অবশ্য কৃতকর্মের জন্য দুঃখিত নন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ওই যুবক এক নারীর ব্যাগ ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু জনতা তাকে ধরে ফেলে। শুরু হয় মারধর। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতার হাত থেকে ওই যুবককে তিনিই উদ্ধার করেন বলে দাবি করেন তন্ময়। এরপর ওই যুবককে রাস্তাতেই বসতে বলা হয়। স্থানীয় পুলিশ অফিসররা তাকে ঘিরে ধরে। তন্ময়ের অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত ওই যুবকের গায়ে খুব জোর। সে বার বার পালানোর চেষ্টা করছিল। সে জন্যই তার বুকে পা তুলে আটকে রাখার চেষ্টা হচ্ছিল।
স্থানীয় মানুষের অবশ্য অভিযোগ, তন্ময় রাস্তায় ফেলে মারছিলেন ওই যুবককে। পেটে বুকে পিঠে বুট দিয়ে লাথি মারার পরে তার বুকে পা তুলে দেয়া হয়। ওই যুবক তখন বার বার ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করতে থাকে। কিন্তু তন্ময় তাকে আটকে রাখে। স্থানীয় থানার এক পুলিশ অফিসারের বক্তব্য, ওই যুবকের পকেট থেকে একটি চোরাই মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। যে নারীর ব্যাগ সে চুরি করেছিল, সেটিও উদ্ধার করা গেছে। মোবাইল বা ব্যাগের মালিক কেউই থানায় অভিযোগ জানাননি। তবে থানা চাইলে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।
নেটিজেনদের প্রশ্ন, ওই যুবককে ধরে কেন শেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে যাওয়া হলো না? কেন তার বিরুদ্ধে আইন মেনে ব্যবস্থা নেয়া হলো না? রাস্তায় কোনো ব্যক্তির বুকের উপর পা তুলে দেয়ার অধিকার আদৌ কি পুলিশের আছে? পুলিশ যে এ কাজ করতে পারে না, তা পুলিশ কমিশনারের কথাতেই স্পষ্ট। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।