Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শঙ্কায় সাধারণ ভোটার

নির্বাচনী সহিংসতা

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

নওগাঁর রাণীনগরে গোনা ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার কাজের সময় নৌকা প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। গত শনিবার উপজেলার গোনা ইউপির প্রেমতলী বাজারে এই ঘটনাটি ঘটেছে। অপরদিকে ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে উপজেলার সাধারণ ভোটাররা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল আরিফ রাঙ্গার মহিলা কর্মীরা ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম হিন্দু পাড়ায় নির্বাচনী প্রচার কাজ শেষে প্রেমতলী নামক স্থানে এলে নৌকা প্রার্থী আব্দুল খালেকের কর্মীরা তাদেরকে বাধা প্রদান করে। বিষয়টি স্বতন্ত্র প্রার্থী রাঙ্গা জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হয়ে নৌকা প্রার্থীর কর্মীদের বাধা দেয়। বাধা দেওয়ার খবরটি নৌকা প্রার্থী আব্দুল খালেক জানতে পারলে সেখানে তার আরো কিছু কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত হয়ে রাঙ্গা ও তার লোকজনের উপড় হামলা চালায়। নৌকা প্রার্থীর হামলায় রাঙ্গাসহ তার ৩০জন কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ফজলে রাব্বি, জাকারিয়া , মোয়াজ্জেম হোসেন, মেহেদি হাসান, বজলুর রশিদ, মিজানুর রহমানসহ ১০ জনকে রাণীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে রাব্বির অবস্থা গুরুতর হলে তাকে রাণীনগর থেকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আরিফ রাঙ্গা বলেন মনোনয়ন পাওয়ার থেকেই নৌকা প্রার্থী আমাকে বিভিন্ন ভাবে বাধা প্রদান করে আসছে। আমার চলাচলের রাস্তা পর্যন্ত নৌকা প্রার্থীর লোকজন আটকে দিচ্ছে। আমি ও আমার লোকজনেরা সব সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনী প্রচার কাজ করে আসছি। যত বাধাই আসুক না কেন আমি নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে আছি, থাকবো এবং জনগনের ভালোবাসায় সিক্ত বিজয়ের মালা গলায় জড়িয়েই তবে বাড়ি ফিরবো। আমি হামলায় ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা রাখি আগামীতে আমি ও আমার আমার লোকজনেরা একটি শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোটের কাজ করতে পারবো। নৌকা প্রার্থী আব্দুল খালেক বলেন, তার কর্মীরা প্রেমতলী বাজারে ভোট চাইতে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আরিফ রাঙ্গা ও তার প্রায় ৬০-৭০জন কর্মীরা আমার কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করেছে। এতে কর্মী জুয়েলসহ প্রায় ১৫জন আহত হয়েছে। রাঙ্গার লোকজন বিভিন্ন সময় আমার লোকজনকে উস্কানিমূলক কথা ও নির্বাচনী কাজে বাধা দিয়ে আসছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ বলেন, খবর পাওয়ার আমি সঙ্গিয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এছাড়াও উভয় পক্ষের থেকে লিভিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ