গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সারাদেশে চলমান ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। বিশেষ কর্মজীবী নারীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। অন্যদিনের তুলনায় কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে। আবার শত শত মানুষ হেঁটে কর্মস্থলে যান। বিশেষ করে শিশু ও নারীদের দুভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ পরিবহণ শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীর কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ। কর্মস্থলে যেতে পথে পথে অনেকটা যুদ্ধ করতে হয়েছে তাদের। আজ রোববার সরকারি-বেসরকারি সব অফিস-আদালত খোলা থাকায় রাজধানীর প্রতিটি বাস স্টপেজ ও মোড়ে ছিল হাজারো মানুষের ভিড়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে কোন পরিবহন পাননি। রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করলেও তা ছিল অপ্রতুল। ভাড়া হেঁকেছে দ্বিগুণ-তিনগুণ। অনেকে বাধ্য হয়ে দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে রওনা হন।
মাঝে মধ্যে দোতলা বাস চলাচল করলেও তাতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ওই বাসে উঠতে অনেককে শারীরিক যুদ্ধ করতে হয়েছে। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসে উঠলেও বাদুরের মতো ঝুলেছিলেন।
সরজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর উত্তরা, বিমানবন্দর, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মতিঝিল, গুলিস্তান, শাহবাগ, ধানমন্ডি, ফার্মগেট, শ্যামলী, মিরপুর, মহাখালী এলাকার মোড়ে মোড়ে শ’ শ’ মানুষ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন। রিকশাও ছিল তুলনামূলক কম। যাত্রী বেশি দেখে রিকশাচালকরা ভাড়া হাঁকছেন কয়েকগুণ বেশি। দীর্ঘক্ষণ পরপর বিআরটিসি দোতলা বাস আসতে দেখলেই হামলে পড়লেন অফিসগামীরা। যুদ্ধ করে অনেকে উঠতে পারলেও অসহায়ের মতো তাকিয়ে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।