মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারত দাবি করেছিল, নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে ভারতের আওতাধীন অরুণাচল প্রদেশের উত্তর সুবনসিরি জেলায় চীনের সেনাবাহিনীর সদস্যরা একটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে। কিন্তু রহস্যজনকভাবে বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসেনি। সম্প্রতি আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের বার্ষিক রিপোর্টেও একই দাবি করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ভেতরে ঢুকে আস্ত একটি গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে চীন। দীর্ঘদিন ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) টানাপোড়েনের মধ্যেই অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে চীনের এমন কর্মকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টে। ভারত দাবি করছে, এটি তাদের সীমানার ভেতরে অবস্থিত। তবে মার্কিন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই ভূখণ্ডের দাবিদার চীনও।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়, বিষয়টি নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। রিপোর্টে চীনের সামরিক প্রস্তুতি ও ভূমি আগ্রাসন নিয়ে বিস্তৃত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই মার্কিন কংগ্রেসে জমা পড়তে যাওয়া সেই রিপোর্টে আরো বলা হয়, চীনের স্বায়ত্বশাসিত তিব্বতের অংশ এবং অরুণাচলের পূর্বাঞ্চলের বিতর্কিত জমিতে গ্রামটি বানানো হয়েছে। ২০২০ সালে তৈরি করা গ্রামটিতে অন্তত ১০০টি বাড়ি রয়েছে। ওই অঞ্চলে বহুদিন ধরেই চীনের একটি চেকপোস্ট ছিল। এখন সেটি রীতিমতো বেসামরিক গ্রাম। বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। তারা দাবি করছেন, ওই এলাকার অবস্থান এলওসির অন্তত সাড়ে ৪ কিলোমিটার ভেতরে, ভারতীয় ভূখণ্ডে।
২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট উপগ্রহ থেকে ওই এলাকার একটি ছবি তোলা হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, সেখানে কোনো স্থাপনা নেই। ২০২০ সালের ১ নভেম্বর তোলা আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, সেখানে সারি সারি বাড়ি। কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করে চীন এসব অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বলে দাবি ভারতের। চলতি বছরের শুরুতে ভারত এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ করেছিল। তবে আন্তর্জাতিকভাবে এর কোনো সুরাহা হয়নি। বেইজিং ভারতের দাবি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয়। এখন মার্কিন রিপোর্টে বিষয়টি উঠে আসার পর দিল্লি আবার এ নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। সূত্র: এনডিটিভি, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।