নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ের ফর্ম বিচারে সেমিফাইনাল তো বটেই, আরো ভালো অবস্থানে থাকার সামর্থ্য রাখে লাল-সবুজরা। এমন ধারণা ছিল দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর। কিন্তু বিশ্বকাপ মঞ্চের মূল লড়াইয়ে দেখা গেল কি? টাইগারভক্তদের ধারণা ঠিক উল্টো চিত্র। জাতির আবেগের কোন মূল্যই দেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মুশফিকুর রহিমরা। তারা দেশবাসীর সঙ্গে তামাশা করেছেন বলতে হবে। বিশ্বকাপ থেকে দেশকে অবিশ্বাস্য কিছু এনে দেওয়া তো দূরের কথা, নিজেদের সামর্থ্যটুকুও দেখাতে পারেননি সৌম্য সরকার-লিটন দাসরা। চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয়ার পরও মুশফিকরা উল্টো দেশের ক্রিকেটভক্তদের ‘আয়নায় মুখ’ দেখতে বলেছেন।
বাছাই পর্বে স্কটল্যান্ডের মতো দলের কাছে হেরে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে বাংলাদেশ। দুর্বল ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে কোনো মতে সুপার টুয়েলভে উঠলেও এই পর্বে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেন সাকিব-মুস্তাফিজরা। সুপার টুয়েলভে নিজেদের পাঁচ ম্যাচের একটিতে জিততে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে তো জাতিকে লজ্জা দিয়েছে টাইগার খ্যাতরা! এর মধ্যে শেষ দুই ম্যাচে ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়ে লজ্জার ষোলোকলা পূর্ণ করে শুক্রবার বিকালে দেশে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ দল।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এমন বাজে পারফরম্যান্স মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেটভক্তরা। সাকিব-মুশফিকদের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স শেষে মুখ খুলেছেন দেশী-বিদেশী সাবেক ক্রিকেটারসহ ক্রিকেট বিশ্লেষকরাও। এবার এই তালিকায় যোগ হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি, জাতীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি শুক্রবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও তার বোর্ডকে। সাবের হোসেন চৌধুরী টুইটে লিখেছেন, ‘জনাব পাপনের অধীনে বাংলাদেশ ৪টা বিশ্বকাপ খেলে ফেললো। দিনকে দিন অবস্থা খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে থাকা বিসিবির সভাপতি সবচেয়ে অযোগ্যও বটে।’ বিসিবির সাবেক সভাপতি যোগ করেন, ‘দোষটা সবসময় অন্য কারো হয়, কিন্তু তিনিই আমাদের ক্রিকেটটাকে মাটিতে নামিয়েছেন। লজ্জা লাগে যে আমাদের এমন একটা নির্লজ্জ ক্রিকেট বোর্ড রয়েছে।’
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি ছিলেন তিনি। তার দায়িত্বকালেই ২০০০ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ এবং টেস্ট স্ট্যাটাস পায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে এবং বিশ্ব ক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব আজীবন সদস্যপদ দেয় সাবের চৌধুরীকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।