Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামের আলোকে আত্মহত্যার কুফল ও প্রতিকার

মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমিন | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৯ এএম

আত্মহত্যা শব্দটি হৃদয়ে কম্পন সৃষ্টিকারী শব্দ। ইংরেজীতে যাকে ঝঁরপরফব বলে আরবীতে তাকে ’ইন্তেহার’ বলে। আত্মহত্যা হলো নিজের ইচ্ছায় জীবন বিসর্জন দেয়া। আত্মহত্যা শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ’সেইডেয়ার’ থেকে। বিশ^ স্বাস্থ্যা সংস্থার মতে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। আর অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। জাতীয় স্থানীয় পত্রিকা, হাসপাতাল ও থানা থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তরুনদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন প্রতিবেদন দিয়ে থাকে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী(মার্চ২০-ফেব্রুয়ারী-২১) গড়ে প্রতিদিন আত্মহত্যা করছে ৩৯ জন। আত্মহত্যা বা নিজ ইচ্ছায় প্রাণ বিসর্জন দেয়া কারোরই কাম্য নয়। আত্মহত্যার মাধ্যমে একটি জীবনই শেষ করে দেয়া নয় বরং একটি পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্র তথা গোটা মানবজাতিকে চরম হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়া। মানুষের কাছে সবথেকে প্রিয় হলো তার জীবন। তবুও কেনো মানুষ তার জীবনটাকে নিজ হাতে স্বেচ্ছায় বিসর্জন দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞগণ একটি আত্মহত্যার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেছেন তার মধ্যে অন্যতম কারণ
কারো কারো মতে ১৯ থেকে ৩৬ তদোর্ধ বয়সের নারী পুরুষ যেসব কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তার মধ্যে - ১. ডিপ্রেশন ২.দাম্পত্য কলোহ ৩. সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্ধ ৪. বেকারত্ব ৫. মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনতা উল্লেখযোগ্য। আবার তরুন তরুনীদের মধ্যে বিশেষভাবে যে সব কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় তা হলো - ১. পারিবারিক কলহ ২. লোক লজ্জা ৩. সামজিক নিরাপত্তাহীনতা ৪. ব্যার্থতা
কিন্তু ইসলামের আলোকে বিশ্লেষন করলে দেখা যায় আত্মহত্যার মুল কারণ হলো-১. অপসংস্কতি ২. নৈতিকতা ও মুল্যবোধ না থাকা ৩. ধর্মীয় জ্ঞান ও অনুশাসনের বড়ই অভাব
বিশেষজ্ঞদের ধারণামতে উল্লেখিত কারণগুলো থেকে উত্তোরণের মাধ্যমেই আত্মহত্যার প্রবণতা কমিয়ে আনা কিংবা বন্ধ করা সম্ভব। কিন্ত ভাবনার বিষয় হলো ঐ সব কারণ গুলো কি সমাজ থেকে নির্মুল করা সম্ভব? আদৌ সম্ভব নয়। পৃথিবীর শুরু থেকেই মানুষ ডিপ্রেশন মুক্ত হতে চেয়েছে পারেনি। দ্বন্ধ কলহ মুক্ত হতে চেয়েছে পারেনি কারন সম্পর্ক আছে তো দ্বন্দ কলহ থাকবেই। লোক লজ্জা,নিরপত্তাহীনতা থেকেও রেহায় পাওয়া যাবে না। সমাজ আছে তো লজ্জার বিষয় থাকবে। আর নিরাপত্তা কে দিবে কাকে? নিরাপত্তার অভাব থেকেই যাবে। সুতরাং এগুলো মিটাতে না পারলে আত্মহত্যা এবং তার প্রবণতা বন্ধ করা যাবে এটা যুক্তির ধোপে টিকে না। বরং ভিন্ন উপায় তো আছেই এবং থাকবেই। আর তা হলো ইসলামের আলোকে নির্ণিত কারণ গুলো একটু ভেবে দেখার দরকার।
সংস্কৃতির নামে কিছু অপসংস্কৃতি দেদারছে চলছে। যার কুফল তরুন বয়স থেকে শুরু করে মধ্য বয়সী সকলের উপর পড়ছে। অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে নৈতিকতা ও মুল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে। আর এগুলো সম্ভব একমাত্র ইসলামী জীবন ব্যবস্থার মাধ্যমে। সকল সমস্যার সমাধান একমাত্র ইসলামে। এখন আত্মহত্যা ও কুফল সম্পর্কে ইসলাম কি বলেছে সে সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাক। ইসলাম মানুষকে মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ করেছে- আর সেই মানুষ নিজের ইচ্ছায় নিজের জীবনকে বিসর্জন দিবে এটা কখনও হতে পারেনা। নবীজি (সা.) বলেন,’ আনাস ইবনু মালিক(রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, তোমদের কেউ যেন দুঃখ কষ্টে পতিত হবার কারণে মৃত্যু কামনা না করে। যদি কিছু করতেই চায় তা হলে সে যেন বলেঃ হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রাখ, যতদিন আমার জন্য বেঁচে থাকা কল্যাণকর হয় এবং মৃত্যু দাও, যখন আমার জন্য মরে যাওয়া কল্যাণকর হয়।’(বুখারী-৫৬৭১) অতএব আত্মহত্যা মারাত্মক অপরাধ এটা হলো জঘন্যতম পাপ। আত্মহত্যা ইসলাম ঘৃন্য অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।
আত্মহত্যা মহাপাপঃ ইসলামে আত্মহত্যা মহাপাপ ও অত্যন্ত ঘৃন্য অপরাধ হওয়া সত্তেও তথ্যচিত্র খুবই দুঃখজনক। আত্মহত্যা না করতে আল্লাহ তা’য়ালা বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন এবং এর পরিণাম কত ভয়াবহ তাও বর্ণনা করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,’ নিজ হাতে নিজেদের কে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করোনা’। (বাকারা-১৯৫) একই ভাবে সুরা নিসার ২৯ নং আয়াতে আল্লাহ পাক আত্মহত্যা না করার কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, ‘তোমরা নিজেদের হত্যা কোরো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি মেহেরবান। আর যে সীমা লঙ্ঘন ও অন্যায়ভাবে ঐ কাজ (আত্মহত্যা) করবে অচিরেই তাকে আগুনে প্রবেশ করাব। আর এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।’ ( নিসা-৩০) সুতরাং বুঝা যায়, মানুষের জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে। যে কেউ এটা নিজের হাতে তুলে নেয়,এবং নিজের ইচ্ছায় মৃত্যু ঘটায়,সে নিজের উপর জুলুম করে এবং সীমালঙ্গন করে। এটা আল্লাহর মোটেও পছন্দ নয়। এমন ব্যাক্তির জন্য আল্লাহর জান্নাত হারাম।
জান্নাত চিরকাল হারাম : আত্মহত্যার অপরাধে জান্নাত হারাম হয়ে গেলো কেননা সে আল্লাহর দায়িত্ব গ্রহন করেছে মানেই আল্লাহর সাথে শিরক করেছে। আল্লাহ বলেন, ’ যে ব্যাক্তি শিরক করেছে তার ওপর আল্লাহর জন্নাত হারাম করে করে দিয়েছে এবং তার আবাস জাহান্নামে’। (মায়েদা-৭২)
আত্মহত্যাকারীর জন্য আল্লাহর জান্নাত যে হারাম এ ব্যাপারে আমাদের প্রিয় নবী রাসুলে পাক (সা.) বলেন,
এক ব্যক্তির দেহে জখম হয়েছিল সে (অধৈর্য হয়ে) আত্মহত্যা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা তার জীবনের ব্যাপারে আমার সাথে তাড়াহুড়া করল। আমি তার ওপর জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ (বুখারী-১৩৬৪)
যেভাবে আত্মহত্যা করবে সেভাবে জাহান্নামে শাস্তিভোগ করবে : দুনিয়াতে যেভাবে আত্মহত্যা করবে তাকে জাহান্নামে সেভাবেই শাস্তি দেয়া হবে। সেই ভয়ানক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে বিশ^ নবী (সা.) বলেছেন,
’আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে (অনুরূপভাব) নিজেকে ফাঁস লাগাতে থাকবে, আর যে ব্যক্তি বর্শার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে (অনুরূপভাবে) বর্শা বিদ্ধ হতে থাকবে’। (বুখারী-১৩৬৫)
আত্মহত্যাকারীর জন্য দুনিয়াতে রয়েছে ধিক্কার : এমন জীবন তুমি করিবে গঠন মরিলে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন। কিন্তু আত্মহত্যার মত জঘন্য পাপ করার কারণে যেমন আখিরাতে শাস্তি নির্ধারিত তেমনই দুনিয়াতে কেউ আফসোস করেনা, কেও কাঁদে না, অতি আপনজন কাঁদলেও বেশিদিন না। কারণ তারা সমাজে কারোর কাছে বলতে পারেনা তার আপনজন আত্মহত্যা করে মারা গেছে। তাই আল্লাহ পাক বলেন, ’আসমান জমিনে কেউ তার জন্য কাঁদেনি এবং একটু অবসর ও দেয়া হয়নি’। (সুরা দুখান-২৯)।
আত্মহত্যাকারীর জানাজা দোয়া : যে আত্মহত্যা করে তার জন্য দুনিয়ার মানুষ জানাজা দোয়া করতে ইচ্ছে পোষন করেনা। তার ঘৃন্য অপরাধের কারণে তার জন্য জানাজা পড়তে চায় না। খোদ নবী করিম (সা.) এসব পাপিষ্ঠ ব্যক্তির জানাজার নামাজ পড়েননি, দোয়া করেননি।
হযরত জাবের বিন সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত,‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এমন এক মায়্যিতের নিকট আনা হলো, যে লোহার ফলা দ্বারা আত্মহত্যা করেছিল,ফলে তিনি তার জানাজার নামাজ আদায় করলেন না।’(মুসলিম- ৯৭৮)
প্রতিকারের উপায় কী : আত্মহত্যা প্রবণতা কমিয়ে আনা বা একেবারে বন্ধ করার জন্য করনীয় কী সে বিষয়ে নজর দেয়া যাক। অর্থ্যাৎ এই জঘন্য অপরাধ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখতে কোন উদ্যোগ সবথেকে বেশি ফলপ্রসু।ইসলামের আলোকেই তা জানার চেষ্টা করা যাক।
অপসংস্কতি : তরুন তরুনী থেকে শুরু করে মধ্য বয়সী এমনকি বয়স্করাও অপসংস্কৃতির দিকে ঝুকে পড়েছে। আকাশ সংস্কৃতির বদৌলতে দেখা যায় যে কিছু নিয়মিত সিরিয়াল মানুষকে অতি প্রিয় করে তুলেছে। ঐ সব সিরিয়ালে দেখানো হয় পারিবারিক কলহ, বাবা মা,ভাই বোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সামান্য মান অভিমানে আত্মহত্যা করা। নগ্নতা, বিবাহ বহির্ভুত রিলেশন, ইত্যাদি। আর ডিভাইস আসক্তি তো চারদিক থেকে আস্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরেছে। যা শিশু থেকে শুরু করে ১০/১২ বছর বয়সের বাচ্চাদের কে চরম ভাবে ক্ষতি করছে। আল্লাহ তা’য়ালা কুরআনুল কারীমের সুরা নুর এর ১৯ নং আয়াতে বলেন, নিশ্চয় যারা এটা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে ফাহেশা(অপসংস্কৃতি) ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। দুনিয়ার জীবনে আত্মহত্যার চেয়ে যন্ত্রনাদায়ক আর কী হতে পারে। সুতরাং নগ্নতা অশ্লিলতা, অপসংস্কৃতি বন্ধ করে সুস্থ সংস্কৃতি সমাজকে উপহার দিতে পারলেই সফলতা।
নৈতিকতা ও মুল্যবোধ সৃষ্টি করা : মুল্যবোধের অনুপস্থিতিই অবক্ষয়ের সুচনা করে। মূল্যবোধ ও অবক্ষয় পরস্পর বিরোধী; সাংঘর্ষিক। তাই মূল্যবোধ যেখানে দুর্বল, অবক্ষয় সেখানেই প্রবল। নৈতিকতা ও মুল্যবোধ চর্চার একমাত্র আশ্রয় হলো ধর্ম।
ধর্মীয় জ্ঞান ও অনুশাসন : প্রতিটি সভ্যতাই গড়ে উঠেছে কোনো না কোনো ধর্মকে কেন্দ্র করে। ইতিহাসে এমন একটি সভ্যতা খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেটি ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে গড়ে উঠেছে। তাই একটি নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি সৃষ্টি ও অবক্ষয়হীন সমাজ বিনির্মাণ করতে হলে নাগরিকদের মধ্যে জবাবদিহিতার অনুভূতি সৃষ্টি, ধর্মীয় জ্ঞান ও অনুশাসন সম্প্রসারণ, লালন ও অনুশীলনের বিকল্প নেই। দ্বীনি পরিবার হলে পরিবারের সদস্যদের জন্য ধর্মীয় বিধিনিষেধ পালন করা সহজ হয়। সন্তানরা ছোট থেকে দ্বীনি আবহে বেড়ে ওঠায় তাদের মধ্যে আনুগত্য, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ তৈরি হয়। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ইসলাম ও নৈতিকতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিলে সর্বদাই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগ্রত থাকবে। যার ফলে মানুষ চর্চা করবে নিম্নোক্ত বিধিনিষেধ-
হতাশা বা নৈরাশ্য নয় : পারিবারিক ও সামাজিক নানা সংকট থেকে মানুষ আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়। চরম হতাশা, বিপদে অধৈর্য হয়ে আর অনিয়ন্ত্রিত জেদ-অভিমানেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেই। অথচ ইসলাম শান্তনা ও প্রতিদানের প্রশিক্ষন দেয়। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,‘যারা পথভ্রষ্ট তারা ব্যাতিত আর কে তার রবের অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়?’( সুরা হিজর-৫৬) আল্লাহ তা’য়ালা আরো বলেন,’ তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না।’( জুমার- ৫৩) সকল সময় সব ক্ষেত্রে আল্লাহর রহমতই একমাত্র ভরসা। পৃথিবী ক্ষনস্থায়ী আর কোনো সংকটই স্থায়ী হয় না। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হচ্ছে, ‘কষ্টের সঙ্গেই তো সুখ আছে। নিশ্চয় কষ্টের সঙ্গেই সুখ আছে।’ ( ইনশিরাহ- ৫-৬) আরো বলা হয়েছে-‘ এমন পন্থায় রিযিক দেবেন যা সে কল্পনাও করতে পারেনা। যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।’ (তালাক-৩)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ