চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : আমার কাছে কোনো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকা পায়। সেই প্রতিষ্ঠানের সেটি এখন আর মনে নাই। তাদের হিসাবেও নাই, আর আমার প্রতি তাদের কোনো দাবিও নাই। আমিও এখন লজ্জায় সেটি স্মরণ করিয়ে টাকা প্রদান করতে পারছি না। আমাদের উভয়ের মধ্যে পর্যাপ্ত বিশ্বাস আছে। কোনো একটি কাজ করার জন্য কাজের খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছিল, কাজ শেষে তিন হাজার টাকা বেশি হওয়ায় পরে আর দেয়া হয়নি। এখন যদি আমি এই তিন হাজার টাকা তার (প্রতিষ্ঠানের মালিক) নামে আল্লার ওয়াস্তে মসজিদে বা মাদরাসায় দান করে দেই, তাহলে আমি কি দায় মুক্ত হবো?
উত্তর : যে কাজের বিনিময়ে আপনি ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। সে কাজে কি কথা ছিল যে, বেঁেচ যাওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে? যদি এমন কথা না থাকে তাহলে তো টাকাটা আপনারই। আর যদি ফেরত দেয়ার কথা থেকে থাকে, তাহলে ‘দাবিও নাই’ কিভাবে বলেন? হিসাব না থাকা, ভুলে যাওয়া বা তামাদি হয়ে যাওয়া কোনো পাওনা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে না। যদি লজ্জাবশত বিষয়টি আর উল্লেখ করতে না চান, তাহলে অন্য কোনো বাহানায় টাকাগুলো তাদের ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিষ্ঠানে এটি জমা হলেই চলবে। যেমন, সরকারি তহবিলের টাকা কারো কাছে থাকলে তা যে কোনো ভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করলেই দায়মুক্ত হওয়া যায়। দুনিয়াবি ভাবে টাকা পরিশোধের যে কোনো কৌশল খুঁজে বের করুন। সম্পূর্ণ অপারগ হলে দান করে দিন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাবে যে, একটি প্রতিষ্ঠানে এই দানের সওয়াব কারা কীভাবে পাবেন? প্রতিষ্ঠানে তো মালিক বদল হয়। শেয়ার বিক্রি হয়। নানা ধর্মের লোক থাকে। এরপরও আপনার অনুতাপ ও চেষ্টা অবশ্যই ফল দেবে। তবে এ নিয়ে আপনি বেশি চিন্তিত না হয়ে মনের স্বস্তির জন্য বুদ্ধি করে একটি পথ বেছে নিন। আল্লাহ মানুষের নিয়ত ও কর্ম দু’টোই দেখেন। অন্তরের অবস্থাও তিনি জানেন। সচেষ্ট ব্যক্তি মাত্রই তার ক্ষমা, দয়া ও রহমত পেয়ে থাকেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।