পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভিসি আ.আ.ম.স.আরেফিন সিদ্দিক এবং বর্তমান ভিসি মো. আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়েছে। ঢাবি শিক্ষক আয়েশা মাহমুদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
দুই ভিসির সঙ্গে ঢাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার এবং সাবেক রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানের বিরুদ্ধেও রুল জারি করা হয়েছে। আয়েশা মাহমুদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আছরারুল হক। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
অ্যাডভোকেট মো. আছরারুল হক সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টের আদেশ পালন না করায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
এর আগে ২০০৬ সালের মে মাসে মনোবিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষককের পদোন্নতি দেয়া হয়। পদোন্নতি না পেয়ে ওই বিভাগের এক শিক্ষক আয়েশা মাহমুদ হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে ২০০৬ সালের মে মাস থেকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়রিটিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ওই তিন শিক্ষকের পদোন্নতির আদেশ বাতিল করা হয়।
এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আপিল করে। আপিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেন, আয়েশা মাহমুদকে সিনিয়রিটিসহ ২০০৬ সাল থেকে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অপর তিন শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল থাকলেও আয়েশা মাহমুদের কোনো ক্ষতি হবে না।
এরপর আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল রায় দেন। হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে ৩ শিক্ষকের পদোন্নতি বহাল করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আয়েশা মাহমুদকে নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
অ্যাডভোকেট আছরারুল হক বলেন, আদালতের আদেশের পরেও ঢাবি কর্তৃপক্ষ টেকনিক্যালি আয়েশা মাহমুদকে সিনিয়রটি হিসেবে দুই নম্বরে রাখলেন। কিন্তু সিনিয়রিটি হিসেবে এক নম্বরে দেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সিনিয়রিটি হিসেবে এক নম্বরে থাকা ওই তিন শিক্ষকের একজন চেয়ারম্যান হয়েছেন। তাই তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন। আদালত আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।