বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে শিল্প পুলিশের দুই সদস্য মারধরের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে।
মঙ্গলবার সকালে শিল্প পুলিশ-১ এর আহত কনস্টেবল সৌরভ কুমার বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরআগে সোমবার সন্ধ্যায় সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় একটি চা দোকানে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুয়েল মিয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার করে।
মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক অন্যরা হচ্ছে- রুবেল (৩০), কালাম মিয়া (২০), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ইলিয়াস মিয়া (৩৫), কবির (২৫), সজল (২৪), তোতা (৩৫), ফয়সাল (৩০), লোকমান (৩৫) ও লালটু মিয়া (৪৫)। তারা সকলেই বালু শ্রমিক।
এজাহারের বরাত দিয়ে বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আব্দুল কুদ্দুস জানান, সাভারের পঞ্চবটির বিরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হানিফের চায়ের দোকানে ঘটনাটি ঘটে। সেখানে চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দোকানি হানিফের সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু করে অভিযুক্ত বালু শ্রমিকরা। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিতর্ক থামানোর চেষ্টা করে উপস্থিত শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর দুইজন কনস্টেবল। পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকে থাকায় তারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করে। পরিচয় জানতে পেরেও বালু শ্রমিকরা পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও দোকানের পাশে থাকা বাঁশ ও কাঠের টুকরো দিয়ে পুলিশ সদস্যদের মারধর করে। পরে আহত অবস্থায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নূর হোসেনকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, খবর করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। রাতে অভিযান চালিয়ে মূল আসামী জুয়েল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।