গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর পল্লবীর এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিবের ওপর সশস্ত্র হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে কিশোর গ্যাং লিডার রমজান ও আল আমিনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। গত বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, ঢাকার আশুলিয়া, যশোর ও ঝালকাঠি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিরা হলোÑ ইসমাইল হোসেন ওরফে পপকন (১৮), বিজয় (১৭) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে সাইমন (১৭)। র্যাব-৪ অধিনায়ক ডিআইজি মোজ্জামেল হক বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পল্লবীর সি-ব্লকে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিবের (১৬) ওপর এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং জুনিয়র গ্রুপের প্রধান রমজান ও আল-আমিনসহ অন্যান্য সহযোগীরা হামলা করে। হামলাকারীরা পেছন থেকে ভিকটিমের পিঠে ছোরা দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। এ হামলায় রাকিবের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেক্যিাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হামলায় আহত হওয়ার আগে রাকিব ৫টি পরীক্ষা দিয়েছিল এবং ৬ষ্ঠ পরীক্ষার দিন হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পরীক্ষা দিতে এলে পরীক্ষা চলাকালে সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে পড়লে তাকে পরীক্ষার হল থেকে পুনরায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে সে আর বাকি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এ হামলায় বর্তমানে ভিকটিমের মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্তসহ শরীরের নিচের অংশ পুরোপুরি অবশ হয়ে যায়। বর্তমানে রাকিব ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানায় রমজান, আল আমিন, বিজয়, ছোট রমজান, পপকন এবং হাসিবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব-৪। এরই ধারাবাহিকতায় হামলার সঙ্গে জড়িত জুনিয়র গ্রুপের লিডারসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরাও ভিকটিম মিরপুর-১২ এলাকার বাসিন্দা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং মাদকের অপব্যবহারসহ গ্যাং কালচারের প্রবণতা আছে। সেখানে সিনিয়র গ্রুপ জুনিয়র গ্রুপ নামে দুটি পৃথক কিশোর গ্যাং রয়েছে। যারা এলাকায় ইভটিজিং, ছোটখাট ছিনতাইসহ মাদক সেবনে লিপ্ত থাকে।
তিনি আরো বলেন, ভিকটিম রাকিব সিনিয়র গ্রুপের সাথে চলাফেরা ছিল। আর গ্রেফতারকৃতরা জুনিয়র গ্রুপের সদস্য। ঘটনার কয়েকদিন আগে জুনিয়র গ্রুপের সদস্য রমজান, আল আমিন, বিজয়, ইয়াসিনসহ আরো ৫-৬ জন মিলে মিরপুর-১২ এর ডি ব্লকে ধুমপান করছিলেন। এ সময় পাশ দিয়ে সিনিয়র গ্রুপের কয়েকজন সদস্য গেলে গ্রেফতারকৃতরা তাদের কোনো প্রকার সম্মান প্রদর্শন করেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিনিয়র গ্রুপের সদস্যরা গ্রেফতারদের হুমকিসহ মারধর করে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত রাকিবকে মারধর এবং ছুরিকাঘাতের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।