বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পুলিশকে মারপিট ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে পুলিশের মামলা দায়েরের পর সেই গৃহবধূ মৌসুমী আক্তারও একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৭ জন নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। গৃহবধূ মৌসুমী (৩২) উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর (ছরারকুটি) গ্রামের দুবাই প্রবাসী সাজু মিয়ার স্ত্রী।
মৌসুমীর এজাহারে বলা হয়, তার স্বামী বাড়িতে না থাকায় আসামিদের সাথে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই মধ্যে তার স্বামীর জমিতে ধানের চারা রোপন করতে বাঁধা দিলে তিনি গত ২৪ অক্টোবর কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দেন। বিষয়টি এএসআই তোফাজ্জল হোসেন স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দেন। এমতাবস্থায় আবারও ২৯ অক্টোবর প্রতিপক্ষ মৌসুমীর বাড়ির গাছ কাটার চেষ্টা করলে তিনি এএসআই তোফাজ্জলকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে তার বাড়িতে আসার জন্য অনুরোধ করেন। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে এএসআই তোফাজ্জল হোসেন মৌসুমীর বাড়িতে গেলে তার বড় ছেলে মিশকাত মারুফ (১১) তাকে বসতঘরের ভিতরে বসতে দেন। এরপর মৌসুমী প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র ও গাছ কর্তনের কথা জানালে তিনি কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এসময় প্রতিপক্ষরা দলবদ্ধ হয়ে লাঠি-সোটা,দা-কুড়াল, লোহার রড নিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এএসআই তোফাজ্জল হোসেন মৌসুমী আক্ত্রকে ধর্ষণ করেছে মর্মে বিভিন্ন ধরণের অপবাদসহ বিদ্রুপ কথাবার্তা বলে চিৎকার ও চেচামেচি করে লোকজন সমবেত হলে তোফাজ্জল হোসেনকে অন্যায়ভাবে আটক করে বাড়ির আঙ্গিনায় আমগাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর মারপিট করে পড়নের শার্ট ছিড়ে ও ছিলা ফুলা বেদনাযুক্ত জখম করে। এসময় মৌসুমী বাঁধা দিলে তাকেও মারপিট করে পড়নের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে তার গলার স্বর্ণের চেইন খুরে নেয়। এছাড়াও বসতবাড়ির বেড়া, দরজা, জানালা ভাংচুর করে। খবর পেয়ে কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে এএসআই তোফাজ্জলকে উদ্ধার করেন। এঘটনায় পরদিন এএসআই তোফাজ্জলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান মৌসুমী আক্তারের মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।