Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অনাহার দূর করতে সম্পত্তি বিক্রির ঘোষণা দিলেন মাস্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক এবার বিশ্ব থেকে অনাহার দূর করার জন্য এগিয়ে এসেছেন। টেসলা-র চীফ ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছেন, যদি জাতিসংঘের কর্মকর্তারা তাকে গ্যারান্টি দেয় যে তার ৬ বিলিয়ন ডলার দিয়ে বিশ্বে অনাহার মিটবে, তাহলে তিনি নিজের শেয়ার বিক্রির জন্য প্রস্তুত। নিজের ট্যুইট অ্যাকাউন্ট থেকে এই কথা জানিয়েছেন খোদ টেসলার চীফ ইলন মাস্ক। মাস্ক জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কার্যক্রমের নির্দেশক ডেভিড ওয়েসলির ট্যুইট রিট্যুইট করে লেখেন, যদি বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এই ট্যুইট থ্রেডে এটা বলে দেয় যে, ছয় বিলিয়ন ডলারে বিশ্বে অনাহার কীভাবে মিটবে, তাহলে আমি এখনই টেসলার স্টক বিক্রি করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কার্যক্রমের নির্দেশক ডেভিড ওয়েসলি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, টেসলা চীফের মোট সম্পত্তির মাত্র দুই শতাংশ পরিমাণ গোটা বিশ্বের মানুষের খাদ্যাভাব দূর করতে পারে। উনি বলেছিলেন, ইলন মাস্কের সম্পত্তি ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি, আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জেফ বেজস। উনি ১৯৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক। এই দুজনা বিশ্বের খাদ্যাভাব মেটাতে পারে। ডেভিড বলেছিলেন, ইলন মাস্কের কাছে এটা একটা সুবর্ণ সুযোগের মতো। উনি মাত্র দুই শতাংশ মানে ৬ বিলিয়ন ডলার দিয়ে বিশ্বের খিদে মেটাতে পারবেন। ডেভিড এই বয়ান ট্যুইটারেও লেখেন, আর এর জবাবে টেসলার চীফ ইলন মাস্ক বলেন, তিনি নিজের সম্পত্তির ছয় শতাংশ দিতে রাজি। তবে, জাতিসংঘের আধিকারিকে এটা স্পষ্ট করতে হবে যে, তিনি এই টাকা বিশ্বের খিদে মেটানোর জন্য কীভাবে ব্যবহার করবেন। টেসলার চীফ বলেন, জাতিসংঘকে নিজেদের খরচ সার্বজনীন করতে হবে, মানুষও দেখবে তারা কীভাবে খরচ করছে। প্রসঙ্গত টেসলার মালিক ইলন মাস্ক এখন বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি। ওনার কাছে ৩১১ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি রয়েছে। এমনকি ওনার সম্পত্তির মোট পরিমাণ পাকিস্তানের জিডিপি-র থেকেও বেশি। ৩০০ বিলিয়নের গণ্ডি পার করা বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবেও উঠে এসেছেন ইলন মাস্ক। এর আগে বহুবার আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে খাদ্য সমস্যা বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে সতর্ক করেছিল বিশ্ব খাদ্য সংস্থা। বিশেষ করে মধ্য আমেরিকা অঞ্চলের ড্রাই করিডোর হিসেবে পরিচিত অঞ্চলটির কথা। ডেভিড বিয়াসলে বলেন, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, এল সালভাদর ও নিকারাগুয়ার বহু মানুষকে তাদের খাদ্যসহায়তা দিতে হয়। বিশেষত হারিকেন ও বন্যার কারণে এ এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় ভীষণ পরিবর্তন এসেছে। সে কারণে বেড়েছে খাদ্য সংকট। এছাড়া বিশ্ব খাদ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ইথিওপিয়ার ৫২ লাখ মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। ইন্ডিয়া টুডে,সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ