গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কুমিল্লা নগরীসহ কয়েকটি উপজেলার গ্রাহকরা। লিকেজ হওয়া গ্যাস লাইন মেরামতের কারণে বাখরাবাদ গ্যাস ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল) সোমবার সকাল ৮টা থেকে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর গ্রাহকরা সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার তৈরি নিয়ে হিমশিমে পড়েন।বিশেষ করে নগরীর হোটেলগুলোতে দুপুরের খাবার পার্সেল নেওয়ার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, লিকেজ পাইপ মেরামত ও দুর্ঘটনার বড় আশঙ্কা থেকে বাধ্য হয়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

জানা যায়, কুমিল্লার কোটবাড়ি নন্দনপুর হাইওয়ে সড়কের পাশে বাখরাবাদের গ্যাস সরবরাহ লাইন রয়েছে। যা দিয়ে কুমিল্লা নগরী ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ হয়ে থাকে। সেখানে পিডিবির দুইটি বড় বড় পিলার রয়েছে। ওই পিলারের পাশে রবিবার বিকেলে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৪টি দোকান পুড়ে যায়।পরে রাত ১টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও লাইন মেরামত করতে না পারায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে বাখরাবাদ।

তবে রবিবার রাতে ও সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ গ্যাস সরবরাহ থাকলেও চুলোয় চাপ ছিল কম। সকাল ৮টার পর থেকে পুরোপুরি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন আবাসিক গ্রাহকরা। বেশিরভাগ গ্রাহকই জানেন না, গ্যাস লাইন মেরামতের কাজ চলছে। অনেক গ্রাহক ভেবেছেন বেলা ১১টা/১২টার মধ্যে গ্যাস চলে আসবে। কিন্তু চুলো স্টার্ট দিয়ে গ্যাসের নাগাল পাননি গৃহিনীরা। ফলে দুপুরের খাবার তৈরি নিয়ে চরম বপাকে পড়েন তারা। ফলে অনেককেই বাধ্য হয়ে হোটেল থেকে দুপুরের খাবার কিনেছেন। কোন কোন হোটেলে বেলা ২টার মধ্যেই খাবার শেষ। খাবারের জন্য দীর্ঘ লাইনও দেখা গেছে নগরীর হোটেলগুলোতে।

বিজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শংকর মজুমদার জানান, আমরা রবিবার রাত ১টা নাগাদ চেষ্টা করেছি। কিন্তু পিডিবির সহায়তা না থাকায় আমরা লাইন মেরামত করতে পারিনি। আজ (সোমবার) সকাল ৮টায় আবার কাজ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ গ্যাস সংযোগ ফিরে পেতে পারেন গ্রাহকরা।
তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুৎ ও সওজের অব্যবস্থাপনার কারণে আমাদের মাঝেমধ্যেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।