মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইয়েমেনে সউদী আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের হামলা নিয়ে লেবাননের সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোর সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। সম্প্রতি লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জর্জ কোরদাহির এক মন্তব্যের জের ধরে দেশটি থেকে এবার নিজেদের কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও কুয়েত। গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
এর আগে এই ইস্যুতে শুক্রবার রিয়াদে নিযুক্ত লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে সউদী সরকার। এর কয়েক ঘণ্টা পর সউদীর পথ অনুসরণ করে একই পথে হাঁটে বাহরাইনও। রিয়াদ বলছে, লেবাননের তথ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল অত্যন্ত ‘আক্রমণাত্মক’।
এক বিবৃতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘সউদী আরবের প্রতি কিছু লেবানিজ কর্মকর্তা অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করেছেন। এর প্রতিবাদে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশটির প্রতি সংহতি জানাতে লেবানন থেকে কূটনীতিকদের প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে ইউএই।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আরব আমিরাতের নাগরিকদেরও লেবাননে ভ্রমণ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে একই কারণে লেবাননের দূতকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় কুয়েত কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনায় বলা হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মধ্যে লেবানিজ কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যেতে হবে। এছাড়া বৈরুতে অবস্থানরত নিজেদের দূতকেও ফিরে আসার নির্দেশ দেয় কুয়েত।
লেবানন ইস্যুতে সউদী আরব ও বাহরাইনের কঠোর পদক্ষেপের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই একই পথ অনুসরণ করলো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েত। অর্থাৎ ইয়েমেনে সউদী আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের হামলা সম্পর্কে মন্তব্যের জের ধরে লেবাননের বিরুদ্ধে চারটি উপসাগরীয় দেশ অভিন্ন পদক্ষেপ নিলো।
তবে লেবানেন বিরুদ্ধে সউদী আরবের পদক্ষেপ একটু বেশি কঠোর। কারণ রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের পাশাপাশি লেবানন থেকে যেকোনো ধরনের পণ্য আমদানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
সউদী আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে সউদী আরব লেবাননের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইলেও লেবানন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে উপেক্ষা করার কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। সূত্র : এএফপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।