যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত অকাস চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘আনাড়ি’ ছিল। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে এ কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোমে ফ্রান্সের ভ্যাটিকান দূতাবাস ভিলা বোনাপার্টে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হয়। খবর বিবিসির। অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হারিয়ে গত ক’দিন ধরেই ক্ষুব্ধ ফ্রান্স। সেই ‘ঘা’ কিছুটা প্রশমিত করতেই এমনটা বললেন বাইডেন। অকাস চুক্তির পর এটিই ছিল সংশ্লিষ্ট দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রথম বৈঠক। জবাবে ম্যাখোঁ বলেছেন, তাদের জন্য এখন সামনের দিকে তাকানোটাই জরুরি। আসন্ন জি-২০ সম্মেলন ও আগামী সপ্তাহে স্কটল্যান্ডে জাতিসংঘের আবহাওয়া সম্মেলন কপ-২৬ এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিশ্ব নেতাদের ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে বাইডেন-ম্যাখোঁর আলাপ হয়। ‘আমার ধারণা ছিল ফ্রান্স আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিল যে চুক্তিটি হচ্ছে না’ বলেন বাইডেন। অকাস চুক্তি বাতিলের পর ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘটনাটিকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ফ্রান্স সাময়িকভাবে তার মার্কিন ও অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারও করেছিল। এদিকে মান-অভিমান যতই থাকুক, সিএনএন-এর খবরে জানা গেলো, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান বলেছেন, বাইডেন ও ম্যাক্রোঁ তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব রক্ষায় নানা ইস্যু নিয়ে আলাপ করবেন। যার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের কাউন্টার-টেররিজম থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তি নিয়ে নানা বিষয় থাকবে। রোমে বাইডেন পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গেও দেখা করেন এবং তাকে একটি বিশেষ মুদ্রা উপহার দেন। এ সময় আবহাওয়া পরিবর্তনের ইস্যুতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পোপের প্রশংসা করেন বাইডেন। গত মাসে অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে চীনকে মোকাবিলায় বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। যার ফলে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিন তৈরি করতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। অকাস (এইউকেইউএস) নামে পরিচিত এই চুক্তির আওতায় আরও থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনকে প্রতিরোধ করতেই এমন জোট গঠন করেছে এই তিন দেশ। বিবিসি।