নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জিতলে ক্ষীণ আশা আর হারলেই ছিটকে যেতে হবে সেমির দৌড় থেকে। এমন সমীকরণ সামনে রেখে সুপার টুয়েলভে শারজাহতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পথে হাঁটলো। বাংলাদেশকে ৩ রানে হারিয়ে নিজেদের প্রথম জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের সঙ্গী হল আরেকটি আক্ষেপ। ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ১৩৯ রান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান, শেষ বলে ৪। আন্দ্রে রাসেলের শেষ বলটা আর ব্যাটে লাগাতে পারলেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এর আগের ওভারে জেতার পরিস্থিতি তৈরি করে দেওয়া লিটন দাস ধরে পড়েন বাউন্ডারি লাইনে। কঠিন উইকেটে একটা বড় সময়ে ম্যাচে থেকেও বাংলাদেশের জেতা হলো না। লেখা হলো আরেকটি আক্ষেপের গল্প। আর তাতে অসম্ভব অনেক ‘যদি-কিন্তুর’ উপর টিকে থাকলেও বিশ্বকাপ থেকেই এক প্রকার ছিটকে পড়লো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসানরা।
প্রথমত নিজেদের কাজটি করতে হবে আগে। বাকি থাকা দুটো ম্যাচেই জিততে হবে অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। এরপর তাকিয়ে থাকতে হবে বাকিদের ম্যাচের মারপ্যাচেও। প্রথমত, ইংল্যান্ডের কাছে হারতে হবে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা আর দক্ষিন আফ্রিকাকে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেও হারতে হবে অজিদের। তৃতীয়ত, লঙ্কানদের হারাতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। আর সর্বশেষ, এই শ্রীলঙ্কাকেই আবার জিততে হবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে। তবেই সেমির স্বপ্ন জিইয়ে থাকবে রাসেল ডমিঙ্গোর দলের।
শারজায় গতকাল ১৪৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে নাঈম শেখের সাথে ওপেনিংয়ে নামেন সাকিব আল হাসান। অবশ্য পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনলেও সেই একই দশা ওপেনিংয়ে। ওপেনিং জুটিতে আসে মাত্র ২১ রান! দলীয় ২১ রানে ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হন সাকিব। পরের ওভারেই ব্রাভোর বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড নাইম! ২৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে সৌম্য সরকার ও লিটন দাশের ৩১ রানের জুটি বাংলাদেশকে জয়ের আশা দেখালেও মিস হিটে উইকেট দিয়ে ফেরেন সৌম্য। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে করেন ১৩ বলে ১৭ রান।
শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৮৮ রান। এরপর মুশফিক লিটনের ১৭ বলে ৩০ রানের জুটি জয়ের ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশকে। দলীয় ৯০ রানে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফেরেন মুশফিক। শেষ ৫ ওভারে দরকার ৪৪ রান, হাতে ৬ উইকেট। ক্রিজে তখন লিটন ও মাহমুদউল্লাহ। সেখান থেকে শেষ ৩ ওভারে দরকার ৩০ রান। ১৯ তম ওভারের শেষ বলে লিটন ফিরলে শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো ১৩ রান! খেলা গড়ায় ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে ৪ রানের প্রয়োজন হলেও রাসেলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় পায় ৩ রানের।
এরআগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই টাইট লাইন লেন্থে বল করে চাপে রাখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই এভিন লুইসকে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর মেহেদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ক্রিস গেইল। ১৮ রানে ২ উইকেট নেই ক্যারিবিয়ানদের। মেহেদির উপর চড়াও হতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন শিমরন হেটমায়ারও। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে ক্যারিবিয়ানরা।
ফিজ, মেহেদি, তাসকিনদের দাপটে হাত খুলে মারতেও পারছিলো না রস্টন চেজ, পোলার্ডরা। চতুর্থ উইকেটে ধীর গতির ৩০ রানের জুটির পথে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরত যান পোলার্ড। এরপর কোনো বল খেলার আগেই রান আউটের শিকার হয়ে ডায়মন্ড ডাক মেরে আউট হন আন্দ্রে রাসেল! প্রথম ১৪ ওভারে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ৪ উইকেটে মাত্র ৭০ রান।
ম্যাচে ব্যাকফুটে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাল ধরেন চেজ ও নিকোলাস পুরান। একপ্রান্তে চেজ থিতু হয়ে স্ট্রাইক রোটেট করে খেললেও আরেক প্রান্তে ঝড় তুলেন পুরান। গড়েন ৩৩ বলে ৫৭ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। এই জুটিতেই ম্যাচে ফেরে ক্যারিবিয়ানরা। এদিকে ক্যাচ মিস আর স্টাম্পিং মিসে জীবন পেয়ে বোলারদের উপর চড়াও হন পুরান।
দলীয় ১১৯ রানে পুরান ফেরেন ২২ বলে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৪০ রানে। পরের বলেই রস্টন চেজ ফেরেন ৪৬ বলে ৩৯ রানের টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং শেষে। শেষ ওভারে জেসন হোল্ডার ও পোলার্ডের তিন ছক্কায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রানের শক্তিশালী পুঁজি দাঁড় করে দুইবারের শিরোপাধারীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।