নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অবষাদ থেকে মুক্তি পেতে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন বেন স্টোকস। ঠিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে চোটে ছিটকে গেছেন স্যাম কারান। চোটের কারণে জফ্রা আর্চারও এবারের আসরে খেলছেন না। আরেক ফাস্ট বোলার মার্ক উড দলে থাকলেও চোটের কারণে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচে খেলবেন না। তবু দৃশ্যত ইংল্যান্ড দলে কোনো দুর্বলতা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। স্টোকস-কারেনদের অভাব বুঝতে দিচ্ছেন না ক্রিস ওকস। আর্চার-উডের শ‚ন্যতাও টের পেতে দিচ্ছেন না বাঁহাতি ফাস্ট বোলার টাইমাল মিলস। আর বাঘা বাঘা ইংলিশ ব্যাটসম্যানের নাম বলে তো শেষ করা যাবে না। তবু মরগানের ইংল্যান্ড দলকে ভয় পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল! গতকাল ম্যাচ-প‚র্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে এমন কথাই বললেন দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কোচের দায়িত্ব পালনের আগে ইংল্যান্ড দলের কোচ ছিলেন গিবসন। মরগান বাহিনীর মানসিকতা ও খেলার ধরন কেমন হবে, সেটি ভালোই জানা এই জ্যামাইকানের। আগের দিন বাংলাদেশ দলের টিম মিটিংয়ে ইংল্যান্ড নিয়ে তার ভাবনার কথা জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের। গতকাল সংবাদ সম্মেলনেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের কৌশল কেমন হতে পারে, সেটির আভাস দিয়েছেন গিবসন, ‘আমরা বিশ্বকাপের কোনো দলকে ভয় পাই না। ইংল্যান্ড খুবই শক্তিশালী ব্যাটিং দল। ওরা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলবে। আমরা এখানে এসেছি প্রতিযোগিতা করতে, জিততে। কাল (আজ) এটাই করার চেষ্টা করব। ইংল্যান্ড ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলবে। আমি আমাদের বোলার ও ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। ওদের বোলাররা সব সময় উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করবে। ব্যাটসম্যানরাও সব সময় রান করে বোলারদের চাপে রাখতে চাইবে। ওদের বিপক্ষে অস্থির না হওয়ার বার্তা দিয়েছি ছেলেদের। একটা ভালো বল করেও হয়তো মার খাবে। কিন্তু তখন শান্ত থাকতে হবে। এভাবেই তারা খেলে, এটাই তাদের মানসিকতা। সেই সঙ্গে আমরা উইকেট নেওয়ার সুযোগও পাব। আমাদের শান্ত থাকতে হবে। দক্ষতা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযোগ দিতে হবে। বোলারদের শান্ত থাকতে হবে যতটা সম্ভব।’
তবে বাংলাদেশ দলের ইংল্যান্ড-বধের পরিকল্পনা যে অনেকটাই কন্ডিশন নির্ভর, সেটিও বোঝা গেল গিবসনের কথায়। বিশাল বাউন্ডারির আবুধাবির উইকেট যদি স্পিন-সহায়ক হয়, সে ক্ষেত্রে ইংলিশদের চেপে ধরার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশ দলের, ‘যদি কন্ডিশন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে সাহায্য না করে, তখন ব্যাটসম্যানরা উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওরা ৫৫ রান তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়েছে। মঈন রানআউট হয়েছিল। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানরা আগ্রাসী খেলাটা খেলতে গিয়ে আউট হয়েছিল। আমরা যদি আমাদের দিনে ভালো খেলি, তাহলে ওরাই আমাদের জেতার বা ম্যাচে কিছু একটা করার সুযোগ করে দেবে। আমরা যদি ওই সুযোগগুলো নিই, তাহলে ফল আমাদের পক্ষে আসবে।’
তবে ভাবনার কারণ হতে পারে আরেকটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির পথচলার হয়ে গেছে ১৭ বছর। বাংলাদেশও খেলে ফেলেছে ১১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে, মুখোমুখি হয়েছে ১৭টি ভিন্ন প্রতিপক্ষের। কিন্তু টেস্ট খেলুড়ে দেশ হলেও ইংল্যান্ডকে কখনো এই সংস্করণে সামনে পায়নি লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এবারই প্রথম দেখা হচ্ছে দু’দলের। তাও বিশ্বকাপে মঞ্চে! এবারও হতো না যদি না আইসিসি গ্রæপ সিডিংয়ের নিয়ম না বদলাতো! প্রাথমিক পর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ রানার্সআপ হিসেবে পা রাখে সুপার টুয়েলভে ইংল্যান্ডের গ্রæপে। একাধিকবার ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেললেও কখনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। আইসিসি ইভেন্টেও এর আগে কখনো দুই দল পড়েনি এক গ্রæপে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নামার পর সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে অন্তত একটি টি-টোয়েন্টি খেলার চক্র প‚রণ হবে বাংলাদেশের। প্রথম দেখায় ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিতে পারলে সেটা হবে নিশ্চিতভাবে বড় কিছু।
তবে শুধু মাঠের লড়াই-ই নয়, বাংলাদেশকে সামলাতে হচ্ছে সমালোচনার তীরও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতা ম্যাচ হারার পর থেকেই উত্তপ্ত দেশের ক্রীড়াঙ্গণ। ক্যাচ ফসকে যাওয়ার সঙ্গে ওই ম্যাচে অধিনায়কের নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও চলছে সমালোচনা। সেই সমালোচনায় যোগ দিয়ে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কোচিং স্টাফদের। এই ম্যাচের আগেও এ নিয়ে কথা বলতে হয়েছে গিবসনকে। পেস বোলিং কোচ বলছেন, তারা এসব নিয়ে ভাবিত না।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে গুরুত্বপ‚র্ণ একটা সময়ে দলের ম‚ল দুই বোলার সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে আক্রমণে আনেনি বাংলাদেশ। অনিয়মিত দুই বোলার আফিফ হোসেন ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজে তিন ওভার বল করে দিয়ে দেন ৩৬ রান। পরে সাকিব-মুস্তাফিজ ফিরেও আর কিছু করতে পারেননি। লিটন দাসের ছেড়ে দেওয়া দুই ক্যাচের সঙ্গে দলের এই কৌশলও সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে। মাশরাফির ফেসবুকে এই ব্যাপারে দেন বিশদ ও কড়া মত। তার কথা, ইনিংসের মাঝামাঝি কোচরা মাঠে এসে পরামর্শ দেন, সব দোষ অধিনায়কের হলে কোচদের কাজ কি?
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে গিবসনের কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। তিনি জানান, বাইরের কথা নিয়ে তারা মোটেও ভাবছেন না, ‘এই ব্যাপারে আমার কোন মতামত নেই। এটা আমার আগ্রহে বা উদ্বেগের বিষয় না। আমাদের দলের বাইরে যে কেউ যা কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় বলতে পারেন, সেটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমরা শুধু দলের ভেতরে কে কি বলল সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আমরা জানি কোচিং গ্রæপ হিসেবে এখানে আমরা কি করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।