মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তথাকথিত গুজরাট মডেলের উদাহারণ দিয়ে ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, মোদির জমানায় উল্টো আতঙ্কে ভুগতে হয়েছে শিল্পপতি ও উদ্যোক্তাদের। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে হেনস্তা হতে হয় তাদের। গত সাত বছরে ভারত ছেড়েছেন মোট ৩৫ হাজার বিত্তশালী উদ্যোক্তা।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এবার এই অভিযোগ তুলেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনটি আলাদা আলাদা প্রতিবেদন তুলে ধরে টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, গত সাত বছরে ভারত ছেড়েছেন মোট ৩৫ হাজার বিত্তশালী উদ্যোক্তা। তার আমলে এত বেশি ভারতীয় উদ্যোক্তা কেন দেশত্যাগ করেছেন, এ নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন বলেও দাবি করেছেন অমিত মিত্র।
কালোটাকা থেকে দুর্নীতি, সবকিছু রুখে ভারতে স্বচ্ছ সরকার গঠনের উদাহরণ হিসেবে মোদিকে তুলে ধরে বিজেপি। শুধু চাকরি নয়, উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে তরুণ প্রজন্ম উদ্যোক্তা হোন, নতুন নতুন (স্টার্টআপ) কোম্পানির বিস্তার ঘটুক—দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মঞ্চ থেকে সাত বছরে এই বার্তা বারবার দিয়েছেন মোদি নিজে। কিন্তু সেই সব দাবি নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন অমিত মিত্র।
পরামর্শক সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলিসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন তুলে ধরে টুইট করেছেন অমিত মিত্র। বলেছেন, ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩৫ হাজার উদ্যোক্তা ভারত ছেড়েছেন। হয়েছেন অনাবাসী ভারতীয়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশ ছেড়েছেন ২৩ হাজার। ঘর ছাড়ার এই দৌড়ে বিশ্বে ভারত প্রথম। তাঁর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে আরও ৭ হাজার ও ২০২০ সালে ৫ হাজার উদ্যোক্তা ভিন দেশে পাড়ি দিয়েছেন। তারপরই অমিত মিত্রের প্রশ্ন, কেন এসব ঘটেছে? আতঙ্কের কারণে?
জনপ্রিয় কফি বিপণি কোম্পানি ক্যাফে কফি ডের কর্ণধারের আত্মহত্যার ঘটনার পর ভারতের আয়কর দপ্তরের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল, যদিও সরকার তা অস্বীকার করে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ পরে আশ্বাস দেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে বিরোধীদের দাবি, অযথা কর বিভাগের হেনস্তার মুখে পড়েছেন অনেকেই। শুধু তা-ই নয়, চাপ আসে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছ থেকেও।
টুইটে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধেও শিল্পপতিদের ভর্ৎসনা করার অভিযোগ এনেছেন অমিত মিত্র। তবে সরাসরি নয়, তিনি বলেছেন, খবরে জানা গেছে, ১৯ মিনিটের এক বক্তব্যে পীযূষ ভারতীয় শিল্প মহলকে ‘দেশবিরোধী’ তকমা দিয়েছেন। তারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। কিন্তু মোদি পীযূষকে এ জন্য তিরস্কার করেননি। কেন? সেই আতঙ্কই কি দেশ ছাড়ায় উৎসাহ দিচ্ছে, প্রশ্ন অমিত মিত্রের। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এই টুইট ভারতের রাজনীতিই শুধু নয়, শিল্প মহলেও কতটা আলোড়ন ফেলে, সেটা এখন দেখার বিষয়। সূত্র: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।