Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিপিইসি’তে নাশকতা করতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগসাজশ: খালিদ মনসুর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৫:৩০ পিএম

চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) কমিটির প্রধান খালিদ মনসুর শনিবার বহু বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) সিপিইসি শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময়, সিপিইসি বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (এসএপিএম) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক লাইফলাইনের বিরুদ্ধে ভারতের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উদীয়মান ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতির দৃষ্টিকোণ থেকে, একটি জিনিস পরিষ্কার: ভারত দ্বারা সমর্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিপিইসি-এর প্রতি শত্রুভাবাপন্ন। এটা সফল হতে দেবে না। সেখানেই আমাদের অবস্থান নিতে হবে।’
সিপিইসি-র অংশ হিসেবে বর্তমানে ২ হাজার ৭৩০ কোটি ডলার মূল্যের ৭১টি প্রকল্পের সঙ্গে চীনের বৈদেশিক উন্নয়ন অর্থায়নের সপ্তম বৃহত্তম প্রাপক হচ্ছে ইসলামাবাদ। অনেক পশ্চিমা থিংক ট্যাঙ্ক এবং মন্তব্যকারীরা সিপিইসি-কে একটি অর্থনৈতিক ফাঁদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন যার ফলে ইতিমধ্যেই জনসাধারণের ঋণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশীয় অর্থনীতিতে চীনা প্রভাবের মাত্রা বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সহযোগী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-থেকে একটি বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা - এর বাইরে পাকিস্তানকে চালানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে - যার অধীনে চীনা সরকার প্রায় ৭০টি দেশে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান তার কোনো সুবিধা থেকে সরে যাবে এমন কোনো উপায় নেই। এটি অতীতে (পশ্চিমা) জোটে একাধিকবার আঙ্গুল পুড়িয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলে চীনের কৌশলগত প্রভাবকে দুর্বল করার তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
খালিদ মনসুর বলেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো সিপিইসিকে চীনের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে দেখে। ‘এই কারণেই সিপিইসিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ উভয়ই সন্দেহজনকভাবে দেখছে ... তারা সিইপিসিকে চীনের রাজনৈতিক, কৌশলগত এবং ব্যবসায়িক প্রভাব বিস্তারের পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।’ তিনি বলেন, চীন সেই আশঙ্কা সামলাতে সক্ষম হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন এই অঞ্চল থেকে প্রত্যাহারের ‘অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিণতির ফল ভুগছে’, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আমেরিকান দূতাবাসের লোকদের সাথে খুব বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি তাদের বলেছি সিপিইসি তাদের জন্যও উপলব্ধ। তারা তাদের ইচ্ছাও ব্যক্ত করেছে যে তারা কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা বিকাশ করতে চায় এবং দেখতে চায় কিভাবে এটি উভয় দেশের জন্য উপকারী হতে পারে।’
এসএপিএম বলেন, ইসলামাবাদ আফগানিস্তানে সিপিইসি সম্প্রসারণ করতে চাইছে এবং তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান বহু বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক করিডরে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে। তিনি বলেছিলেন যে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে এবং ইরান সহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে অর্থনৈতিক সংযোগ বিকাশে ‘গভীর আগ্রহ’ রয়েছে। তিনি জানান, ‘কিছু ইউরোপীয় দেশ আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে। তাদের দূতরা আসছেন।’
সিপিইসির কার্যকারিতা এবং এর অগ্রগতির গতি সম্পর্কে তিনি বারবার ভুয়া খবর এবং ‘নেতিবাচক প্রচারণা’ কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এর পরিধি অনুসারে, সিপিইসি -এর দ্বিতীয় পর্যায়টি প্রথম পর্যায়ের চেয়ে বড় মাত্রার একটি ক্রম হতে চলেছে।’ সূত্র: ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ