পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় অনুষদভুক্ত গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টার এই পরীক্ষা এবার প্রথমবারের মতো ঢাকার বাহিরে সাতটি বিভাগীয় শহরেও অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (রংপুর)সহ এ আট বিভাগে পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গ ইউনিটের ১ হাজার ২৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ২৭ হাজার ৩৭৪ জন। ফলে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তিযুদ্ধে লড়াই করছেন ২১ দশমিক ৯০ জন। ১৭ হাজার ১৩৭ শিক্ষার্থী ঢাবি ক্যাম্পাসে এবং বাকি ৭ হাজার বিভাগীয় সাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আজ শেষ হবে ঢাবির ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা উপলক্ষে সবগুলো কেন্দ্রেই ডিজিটাল জালিয়াতি রোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।
গতকাল ঢাবির বিজনেস অনুষদ ভবনের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মানসম্মত হয়েছে। আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে দু'টো পরীক্ষার হল পরিদর্শন করলাম। পরীক্ষার্থীদের সাথে আমাদের কথাও হয়েছে, তারা আমাদের জানিয়েছে প্রশ্ন খুব মানসম্মত হয়েছে এবং সার্বিক ব্যাবস্থাপনার বিষয়েও তারা ইতিবাচক মন্তব্য করেছে। দেশের অন্য জায়গাগুলোতেও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বিগত সময়ের খারাপ অভিজ্ঞতা ব্যতিরেকে খুব সুষ্ঠু সুন্দর ও সার্বিক ভালো ব্যাবস্থাপনার মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভবিষ্যতেও এবারের মতো বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে ভিসি বলেন, আমরা শুধুমাত্র করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা নিয়েছি তা কিন্তু নয়; আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ভোগান্তি, শ্রম ও অর্থ অপচয় লাঘবের প্রচেষ্টা। আর সেই প্রচেষ্টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুতরাং ভবিষ্যতেও এরকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এসময় সময় প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহম্মদ সামাদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল , প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী, গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়ক ও ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আব্দুল বাছির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রশ্নপত্রের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশ্নপত্র তুলনামূলক কঠিন হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ইংরেজি’র বহু-নির্বাচনীর প্রশ্ন এবং লিখিত অংশ কঠিন হয়েছে। এ দু'টোতে আমি ভালো করতে পারিনি। ভর্তিচ্ছু আরেক শিক্ষার্থী রিফাত বলেন, আমার প্রস্তুতি ভালো ছিলো না। তারপরও প্রশ্ন আমার কাছে সহজ মনে হয়েছে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।