Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভারতীয় বাহিনীর নির্যাতনে মৃত্যুভয়ে কাশ্মির ছেড়ে পালানোর হিড়িক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২১, ১০:২৩ এএম

ভারতীয় বাহিনীর নির্মম অত্যাচারে কাশ্মির ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। বিশেষ তরুন ও যুবকদের ওপর বেশি নির্যাতন করা হচ্ছে। এছাড়া যারা অন্য রাজ্য থেকে কাজ করতে এসেছে তারাও পালাচ্ছে।

ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগরের শেখ-উল-আলম এয়ারপোর্টে রোববারের বৃষ্টিভেজা বিকেল। টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের গা ঘেঁষে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের টিকিট অফিসের সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন একদল মানুষ। পরনে মলিন পোশাক, চোখেমুখে স্পষ্ট ভয়ের আভাস।

চেহারা দেখলেই পরিষ্কার বোঝা যায়, কাশ্মিরিদের সঙ্গে দূরতম সম্পর্কও নেই তাদের। তার মূলত সেখানে গিয়েছিলেন ভারতের বিহার, উত্তরপ্রদেশ বা ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে। কোনোভাবে পাঁচ-সাত হাজার রুপির সঞ্চয় জড়ো করে তারা দিল্লির উদ্দেশে কোনো একটা প্লেনের টিকিট কাটতে ব্যাগ নিয়ে বিমানবন্দরে চলে এসেছেন।

আর যাদের হাতে অতটা টাকা-পয়সা নেই, তারা যাচ্ছেন জম্মুগামী বাসের টার্মিনাসে বা শেয়ারের ট্যাক্সি ধরতে। অর্থাৎ যে কোনোভাবে কাশ্মির উপত্যকা থেকে পালানোই তাদের লক্ষ্য। এয়ারপোর্টে আসার পথে শহরের একটা ‘লেবার চকে’ও এই আতঙ্কিত শ্রমিকদের ভিড়। অচেনা লোক দেখেই ভয়ে সিঁটিয়ে যান তারা, মুখে কুলুপ আঁটেন।

আসলে গোটা কাশ্মির উপত্যকা জুড়েই বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো নানা রাজ্য থেকে অভিবাসী শ্রমিকরা আসেন একটু বেশি উপার্জনের আশায়। কারণ কাশ্মিরে নির্মাণ শিল্পের শ্রমিক হিসেবে বা ছোটখাটো জিনিসপত্র বেচে রোজগারের সুযোগ ভারতের বাকি অংশের চেয়ে অনেক বেশি।

ভোরবেলায় তারা অনেকেই জড়ো হয়ে যান শ্রীনগর, অনন্তনাগ, বারামুলার ‘লেবার চক’গুলোতে। এরপর সেখান থেকে ঠিকাদাররা তাদের সঙ্গে মজুরি নিয়ে দরাদরি করে নিয়ে যান কাজের সাইটে। কেউ আবার রাস্তার মোড়ে মোড়ে বেচেন রোস্টেড হ্যাজেলনাট বা আখরোট, কেউ বসেন জ্যাকেট-জাম্পার-স্কার্ফের পসরা সাজিয়ে।

কিন্তু অক্টোবরের গোড়া থেকেই কাশ্মিরের এই ছবিটা আমূল বদলে গেছে। অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় একের পর এক বেসামরিক মানুষ ও অভিবাসী শ্রমিক নিহত হওয়ার পর তারাই এখন উপত্যকা ছেড়ে পালাতে মরিয়া।



 

Show all comments
  • Md Helal Karim ১৯ অক্টোবর, ২০২১, ১০:২৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশের অসম্প্রদায়িক ব্যক্তিরা কই? তারা এই ব্যাপারে নিশ্চয় কিছু বলবে না। সব দোষ মুসলমানদের!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ