নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। রোববার রাতে আল আমিরাতের ওমান ক্রিকেট একাডেমি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের টাইগারদের এই পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না দেশের ক্রিকেট প্রেমীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। এই পরাজয়ের জন্য খেলোয়ারদের পাশাপাশি ক্রিকেট বোর্ড ও সংশ্লিষ্টদেরকে দায়ি করছেন অনেকেই।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘স্কটল্যান্ড এর কোচ বলেছিলেন, বাংলাদেশ দলকে তিনি ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি মানের দলের চেয়ে বেশি শক্তিশালী মনে করেন না। তিনি তার কথা প্রমাণ করতে পেরেছেন। বাস্তবিকপক্ষে বাংলাদেশ দল আজ ওমান পাপুয়া নিউগিনির মতোই একটি দল বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। আমার মতে, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছে বিসিবি। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের শক্তিশালী দল বাংলাদেশ সফরে এসে ধরাশায়ী হয়েছে। বিসিবি এই কাজটি করেছে মিরপুর স্টেডিয়ামের পিচকে মন্থর করে স্পিন সহায়ক করার মাধ্যমে। এতে অত্যন্ত লো স্কোর ম্যাচ গুলোতেও বাংলাদেশ বিশ্বসেরা দলগুলোর কাছ থেকে ভালো ফল আদায় করে নিতে পেরেছে। আর বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্ষতি এখানেই করেছে বিসিবি। তারা সত্যিকার ভাবে একটি স্পোর্টিং উইকেট এ কিভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে হয়, প্রচুর রান করতে হয় ঝুঁকি নিতে হয়, টিকে থাকতে হয়, বড় ইনিংস খেলতে হয়, সেটা ভুলিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়ারদের।’
গীতিকার ও সাংবাদিক রবিউল ইসলাম জীবন লিখেছেন, ‘ম্যাচের মোট ৪০ ওভারের মধ্যে শেষ ৩০ ওভারই স্কটল্যান্ড ডমিনেট করেছে। এবং আজকের যোগ্য দল হিসেবেই তারা জিতেছে। এ নিয়ে দুইবারের মোকাবেলায় দুবারই তারা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারালো। এবার তো এক প্রকার বলে কয়েই জিতলো! অভিনন্দন স্কটল্যান্ডকে। এই ফর্মেটে ভালো করতে হলে বাংলাদেশের দুই ওপেনারের অন্তত একজনকে নিয়মিত রান করতে হবে। ৩ সিনিয়রের অন্তত একজনকে ২৫-৩০ বলে ৫০ করে আসতে হবে। দলের প্রায় সবাই যদি এভাবে একশর কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন তাহলে ম্যাচ জেতাবে কে? মনে রাখতে হবে এটা টেস্ট কিংবা ওয়ানডে না টি-টোয়েন্টি! আশা করি পরের ২ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠবে বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে এই আশা ছাড়া আর কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’
ক্রিকেট অপারেসন্স কমিটির সমালোচনা করে ইব্রাহিম হোসাইন লিখেছেন, ‘এই ব্যার্থতার দায় কিন্তু আমি ক্রিকেটারদের পুরোপুরি দিতে চাই না। বাংলাদেশের ক্রিকেট অপারেসন্স কমিটিদের মধ্যে কোন দেশাত্ববোধ নেই। এদের চিন্তা-ভাবনা শুধু ব্যাংক-ব্যালেন্চের মধ্যেই সিমাবদ্ধ, মেধা বলতে এদের নেই। ক্রিকেট অপারেসন্স কমিটিদের ঢেলে সাজাতে হবে না হলে অচিরেই ধ্বংস হবে এদেশের ক্রিকেট। শুভ কামনা টিম টাইগার্স।’
কমেডিয়ান ইয়াকুব রাসেল লিখেছেন, ‘তামিম ইকবাল থাকলে এই ম্যাচ আরামসে ৭/৮ উইকেটে জিততাম, তাও কোন টেনশন ছাড়া।’
শুভ্র শাহা লিখেছেন, ‘আমাদের প্লেয়ারদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিলো তার ওয়ানডে কিংবা টেস্ট খেলতে এসেছে! ব্যাটিং উন্নতি করতে না পারলে টি২০ খেলার দরকার নেই।’
অতীতের প্রসঙ্গ টেনে আরেফিন শাকিল লিখেছেন, ‘অজি আর কিউই বধে যারা ছিলেন উল্লাসিত, নিম্ন মানের পিচ নিয়ে গর্বিত! তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে স্কটল্যান্ড ক্রিকেট! এছাড়া সৌম্য-লিটন পদকে পুরস্কৃত করা হয়েছে! অভিনন্দন।’
জুহরা নাহুর শ্রুতির আশাবাদ, ‘আরে বাংলাদেশের হারে এতো হতাশ কেনো? ওই গানটা স্মরণ করুন, হারজিৎ চিরদিন থাকবে, তবুও এগিয়ে যেতে হবে, বাঁধা বিঘ্ন না পেরিয়ে মানুষ হয়েছে কে কবে? আমরা এখনও মানুষ হচ্ছি!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।