পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়। ক্লাস শুরুর প্রথম দিনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয় পক্ষ মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকে। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদলের একটি অংশ ঢুকতে পারলেও অপর একটি অংশ ঢুকতে পারেনি। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা '৭১-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার', 'সন্ত্রাসীদের আস্তানা, বাংলাদেশে হবে না' স্লোগান দিতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে আসতে শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সেখানে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাঁরাও স্লোগান দিতে শুরু করেন। দুই পক্ষের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। তবে বেলা ১১টা নাগাদ দুই সংগঠনেরই নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিন ছেড়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে মধুর ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে ছাত্রদল। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে টিএসসিতে চলে যান। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বক্তব্য দেন।
এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, আপনারা আজকে যারা বুকে সাহস নিয়ে এখানে এসেছেন তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একটা সুশৃঙ্খল সংগঠন। আমরা এখন থেকে নিয়মিত মধুর ক্যান্টিনে বসব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শৃঙ্খলামূলক কাজে অংশগ্রহণ করব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। এ ক্ষেত্রে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
এ ব্যাপারে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, আমরা চাই ক্যাম্পাসে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান। আমরা একটি গণতান্ত্রিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাই; ক্যাম্পাসে সকল ছাত্রসংগঠন সকল ধরনের কাজে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করবে এই প্রত্যাশাই করি আমরা।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।