Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেকর্ড গড়া সূচনা ওমানের

পিএনজি : ২০ ওভারে ১২৯/৯ ওমান : ১৩.৪ ওভারে ১৩১/০ ফল : ওমান ১০ উইকেটে জয়ী।

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

পাপুয়া নিউগিনিকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধান হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করল ওমান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বারের মত কোনো দল ১০ উইকেটের ব্যবধানে জিতল। আর সহযোগী দেশের ক্ষেত্রে এটাই প্রথম ১০ উইকেটের জয়ের নজীর। গতকাল কোয়ালিফায়ার রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে পাত্তায় পায়নি প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ খেলতে আসা পাপুয়া নিউগিনি। ম্যাচজয়ী হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন দুই ওপেনার যতিন্দর সিং ও আকিব ইলিয়াস।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটাই উইকেটের হিসাবে ওমানের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। আগে কখনোই কোনো দলকে এই ব্যবধানে হারাতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। ২০১৯ সালে কানাডার বিপক্ষে ৮ উইকেটে জিতেছিল তারা। গত বছরও তারা ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিল বাহরাইনকে।

১৩০ রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওমান।
তবে দুই ওপেনারই একবার করে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। ইনিংসের নবম ওভারে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান যতিন্দর এবং দশম ওভারে লং অনে আকিবের ক্যাচ ফেলে দেন নোসাইনা পোকানা। জীবন ফিরে পেয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন দু’জন। ৪৩ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন আকিব এবং ৪২ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন যতিন্দর। আকিবের ইনিংসে একটি ছয়ের সাথে ছিল পাঁচটি চার এবং যতিন্দরের ইনিংসে চারটি ছয়ের সাথে ছিল সাতটি চার।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা পাপুয়া নিউগিনির শুরুটাই ভালো হয়নি। শূন্য রানেই ফিরে যান দুই ওপেনার টনি উরা এবং লেগা সিয়াকা। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে বিলাল খানের প্রথম শিকার হয়ে উরা ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফিরে যান সিয়াকা। শূন্য রানে দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনি।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে দু’জন যোগ করেন ৬০ বলে ৮১ রান। ২৬ বলে ৩৭ রান করা আমিনি রান আউটের ফাঁদে পড়ে ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। সঙ্গী হারিয়ে উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি আসাদও। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ফিরে যান তিনিও। ৪৩ বলে ৫৬ রান করে আসাদ ফিরে যাওয়ার পরই পথ হারায় পাপুয়া নিউগিনির ইনিংস।

ওমানের অধিনায়ক জিশান মাকসুদের বোলিং তোপে ১০২ রানে ২ উইকেট থেকে চোখের পলকে ১১৮ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাপুয়া নিউগিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়েই ১২৯ রান সংগ্রহ করে তারা। ওমানের বোলারদের ভিতর মাকসুদ চারটি এবং বিলাল খান ও কলিমুল্লাহ দুটি করে উইকেট শিকার করেন। আগামীকাল স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পিএনজি। একই দিনের আরেক ম্যাচে টাইগারদের বিপক্ষে লড়বে ওমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টি২০ বাংলাদেশ

৬ নভেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ