Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্প্রীতির বন্ধন বিনষ্টকারীরা ইসলাম ও দেশের শত্রু- চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ২:২০ পিএম

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে মূর্তির পায়ের নীচে পবিত্র কুরআন রেখে অবমাননা ও হাজীগঞ্জে উক্ত ঘটনার প্রতিবাদকারী জনতার উপর গুলি ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইসলামী আন্দোলন। শুক্রবার রাতে চাঁদপুর জেলা কার্যালয় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলাম শান্তি, মানবতা ও নিরাপত্তার ধর্ম। ইসলাম অন্য কোন ধর্মের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে নিষেধ করেছে।

এমনকি ইসলামের নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন ব্যক্তির অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে জোর করে ইসলামে দীক্ষিত করার ব্যাপারে নিষেধ করেছেন।

মদিনায় ইসলামী শাসন কায়েম হওয়ার পর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের লোকজন শুধুমাত্র তাদের জান-মাল, ইজ্জত ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় ইসলামী ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছিলো।
পবিত্র কোরআন, মসজিদ, মাদ্রাসা ইত্যাদি বিষয় ভালোবাসা এবং ঈমান সংশ্লিষ্ট। এসব বিষয়ে কেউ কটুক্তি, বিদ্রুপ, অবমাননা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে মুসলমানদের হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হয়।

আমরা লক্ষ্য করছি এই র্স্পশকাতর জায়গাগুলোতে বারবার আঘাত করে মুসলমানদের সাথে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় দাঙ্গার পরিবেশ তৈরি করতে চায় একটি চক্রবদ্ধ গোষ্ঠী। ভোলা, ময়মনসিংহ, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী প্রকৃত দোষীরা থেকে গেছে অধরা। বরং অবমাননার প্রতিবাদে নামা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপর নেমে এসেছে হামলা-মামলার পরোয়ানা। এতে ধর্ম বিদ্বেষীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছেে ।

১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননা ও হাজীগঞ্জে বিক্ষুব্ধ জনতার উপর নির্বিচারে গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় বিক্ষোভ-সমাবেশ না করে আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি। এ সংবাদ সম্মলেনের মাধ্যমে সরকারকে আমাদের দাবিসমূহ জানিয়ে দিতে চাই । দাবিগুলো হচ্ছে;

১. কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কুরআন অবমাননাকারী প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। নিরীহ কোন ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

২. হাজীগঞ্জে বিক্ষুব্ধ জনতার উপর গুলিবর্ষনের হুকুমদাতাসহ প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

৩. কোরআনের ইজ্জত রক্ষার আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং যারা আহত হয়েছে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে ইসলাম ও দেশবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে রুখতে দাঁড়াতে হবে।

৫. আল্লাহ, আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, কুরআন ও ইসলামের বিভিন্ন বিষয় অবমাননাকারী এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে।

যত দ্রুত সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে ততই দেশ ও দশের জন্য মঙ্গল হবে নচেৎ উদ্ভূত পরস্থিতিরি জন্য সরকারকেই সকল দায় বহন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি গাজী মুহাম্মাদ হানিফ, সেক্রেটারী কে এম ইয়াসিন রাশেদসানী, অর্থ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বেলাল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা গাজী নাসির উদ্দিন, সহ-অর্থ সম্পাদক আসাদুল্লাহ সুমন, আইন সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিক উদ্দিন মিয়া, জেলা যুব আন্দোলন সভাপতি হেলাল আহমাদ, জেলা ছাত্র আন্দোলন সভাপতি সেলিম হোসাইন, সদর উপজেলা সভাপতি ডাঃ বেলাল হোসাইন, শহর আন্দোলন সভাপতি আবু নাঈম তানভীর, শহর সেক্রেটারী শরীফ মৃধা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলামী আন্দোলন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ