মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কৌশলগত অংশীদার হিসাবে মস্কো এবং বেইজিং বিশ্বজুড়ে ভূরাজনৈতিক বিষয়গুলোতে তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে চায়। এ কারণে রাশিয়া দ্ব্যর্থহীনভাবে তার অবস্থান পরিস্কার করে বলেছে যে, স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ান মূল ভূখণ্ড ভিত্তিক গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের একটি অংশ।
মঙ্গলবার কাজাকিস্তানের রাজধানী নূর-সুলতানে তার সফরের সময় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ তাইওয়ান ইস্যুতে মস্কোর অবস্থান ঘোষণা করেন। লাভরভ বলেন, রাশিয়া অন্যান্য দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠের মতো তাইওয়ানকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অংশ বলে মনে করে। দআমরা আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে এই ভিত্তি থেকে এগিয়েছি এবং এগিয়ে যাব।’ বর্তমানে ভ্যাটিকানসহ মাত্র ১৪টি দেশের সাথে তাইপের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ১৯৭৯ সালে বেইজিংকে স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে দ্বীপ জাতির সাথে কেবল অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখে। সে সময় জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে তিন দশকের গৃহযুদ্ধ শেষে কমিউনিস্টদের বিজয় হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্রুত নতুন সহযোগী কমিউনিস্ট শক্তির পাশে দাঁড়ায়। যদিও মস্কো এবং বেইজিংয়ের মধ্যে নিজস্ব দ্বন্দ্ব শুরু হয়, যা স্নায়ুযুদ্ধের বাকি সময় পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
কিন্তু আজ, চীন এবং রাশিয়া আগের চেয়ে অনেক কাছাকাছি, এবং এই বছর তারা ভাল-প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার চুক্তির ২০ তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে যা তাদের সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞা দিয়েছে। এই সম্পর্কগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষভাবে উষ্ণ হয়ে উঠেছে কারণ উভয়ই পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বী: যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবেলায় সাধারণ ভিত্তি খুঁজে পেয়েছে। যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পর থেকে, লাভরভ এবং অন্যান্য রাশিয়ান কর্মকর্তারা ‘মুক্ত ও খোলা ইন্দো-প্যাসিফিক’ এর ব্যানারে অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং জাপানের সাথে মার্কিন জোট গঠনের সমালোচনা করেছেন। লাভরভ সম্প্রতি সেই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তার অবস্থান ব্যক্ত করছেন। গত সপ্তাহে একটি প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতি সম্মেলনে লাভরভ বলেন, ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ধারণার লক্ষ্য হল এই ব্যবস্থাকে ভেঙে দেয়া, যা নিরাপত্তার অবিভাজ্যতাকে সম্মান করার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে।’ তিনি খোলাখুলি ঘোষণা করেন যে, এর প্রধান উদ্দেশ্য চীনকে দমন করা।’
এর কয়েকদির পরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান লাভরভের মন্তব্যের প্রশংসা করেন এবং সোমবার দক্ষিণ চীন সাগরে একটি অজানা বস্তুর সাথে মার্কিন সাবমেরিনের সংর্ষের পরে রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞ ইভান কোনোভালভের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের সমালোচনার প্রশংসা করেন। সূত্র : নিউজউইক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।