Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের গ্রামে সেনাদের তান্ডব

৩০ সেনাসদস্যকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে দেশটির জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীদের সংঘাত বাড়ছেই। সোমবার দেশটির সাগাইং অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ৩০ সেনাসদস্যকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। ১৩ অক্টোবর বুধবার এক প্রতিদেনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই। জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)-এর সদস্যদের বরাত দিয়ে রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, সেনারা সাগাইং অঞ্চলে অভিযান শুরু করলে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে তাদের সংঘর্ষ ঘটে। এদিনের সংঘর্ষস্থল সাগাইং অঞ্চলটি মান্দালাই শহরের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ইরাবতী নদীর তীরে অবস্থিত। পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সোমবার সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পেল শহরের বাইরে সেনাদের কনভয় ল্যান্ডমাইনের শিকার হলে একজন কমান্ডারসহ ৩০ সেনা নিহত হয়। তিনি জানান, সরকারি বাহিনীর একজন সিনিয়র কমান্ডার অভিযান চালাতে এদিকে আসার কথা বলেছিলেন। সে অনুযায়ী সেনাদের ওই কনভয়ের জন্য রবিবার থেকেই অপেক্ষা করছিলেন তারা। ২০২১ সালের ১ ফেব্রæয়ারি রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অং সন সু চি-র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ধরপাকড় চালানো হয় সু চি-র দলের নেতাকর্মীদের ওপর। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু করে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের বরাত দিয়ে রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, শুধু গত সেপ্টেম্বরেই এক হাজার ৫৬০ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তু অবশ্য এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। এএনআই। অপর এক খবরে বলা হয়, অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন, লুটপাট, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে সামরিক বাহিনী। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সেনাদের তাÐবের খবর আসছে। তেমনই গত মাসের শেষ দিকে দেশটির সাগাংই অঞ্চলের অনেক বাসিন্দাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয় সেনারা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের উনবে ইন গ্রামে প্রায় দেড়শ সশস্ত্র সেনা প্রবেশ করে। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান শত শত বাসিন্দা। সেনারা চলে যাওয়ার দু’দিন পর ফিরে আসে গ্রামবাসী। এসে ধ্বংসযজ্ঞ দৃশ্য দেখতে পায় তারা। দোকানপাট, ঘর-বাড়ি সব কিছু তছনছ করে দিয়ে গেছে জান্তা। ওই গ্রামেরই এক বাসিন্দা বলেন, ‘একটি ঘরও সেনাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি। তারা প্রতিটি বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করেছে। এমনকি টেলিভিশনও গুঁড়িয়ে দিয়েছে। অন্যান্য জিনিসের মধ্যে ৩০টি সেলাই মেশিন নষ্ট করে দিয়েছে’। উয়ানবে ইন-এ ৩২০টি বাড়ি আছে। গ্রামবাসীরা ফিরে এসে হতবাক হয়ে যায়। সেনাদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে তিনভাগের দুইভাগই ফিরে এসেছেন। ইরাবতী, এএনআই, রয়টার্স।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ