মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বিতর্কিত কুরিল দ্বীপপুঞ্জের ওপর জাপান সার্বভৌমত্বের যে দাবি করেছে তা নাকচ করেছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “জাপানি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করি। কুরিল হচ্ছে রাশিয়ার ভ‚খÐ।” সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, রাশিয়া বারবার নিশ্চিত করেছে যে, জাপানের সাথে যেসমস্ত স্পর্শকাতর ইস্যুতে দ্ব›দ্ব রয়েছে সেগুলো নিরসনের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে সংলাপ অনুষ্ঠান জরুরি। কুরিল দ্বীপপুঞ্জটি ওখস্তস্ক সাগরে অবস্থিত এবং জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পরপরই রুশ বাহিনী দ্বীপপুঞ্জটি দখল করে নেয় এবং তখন থেকেই জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে দ্ব›দ্ব চলে আসছে। সে সময় চারটি দ্বীপ রাশিয়া নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় তবে জাপান এর মালিকানা দাবি অব্যাহত রেখেছে। ১৯৫৬ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন একটি শান্তি চুক্তির মাধ্যমে দুটি দ্বীপ ফেরত দিতে রাজি হলেও জাপান এ বিষয়ে চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা চারটি দ্বীপই ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে পীড়াপিড়ি করছে। অপরদিকে, মধ্য এশিয়ায় আমেরিকার সামরিক উপস্থিতির বিরোধিতা করেছে রাশিয়া। রুশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বার্তা সংস্থা তাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি তার মার্কিন সমকক্ষ ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের সাথে এক আলাপে জানিয়েছেন, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি রাশিয়ার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। রুশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় এ আহŸান জানালেন যখন স¤প্রতি কালেক্টিভ সিক্যুরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেন বা সিএসটিও’ভুক্ত দেশগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, তারা তাদের দেশগুলোতে আমেরিকা ও ন্যাটোর সামরিক উপস্থিতির বিরোধী। এর আগে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, এসব দেশে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভও স¤প্রতি এক বক্তৃতায় রাশিয়ার দক্ষিণ সীমান্তে মার্কিন সেনা মোতায়েনের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি এ অঞ্চলে পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তেজনা সৃষ্টির প্রচেষ্টার ব্যাপারেও সতর্ক করে দেন। মধ্য এশিয়ার দেশগুলিও তাদের দেশে মার্কিন সেনা ঘাঁটি চায় না। কিন্তু এসব দেশের অনিচ্ছা সত্তে¡ও এ অঞ্চলের কোনো কেনো দেশে আমেরিকা ও ন্যাটো সমরাস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। তাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।