নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দীর্ঘ ১৬ বছর পর ফাইনালে খেলার হাতছানি বাংলাদেশের। এবারের আসরে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারিয়েই ফাইনালে খেলবে লাল-সবুজরা। এমনটাই আশা করছেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন এবং অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। লিগ পর্বে বুধবার হিমালয় কন্যা নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে জামাল ভূঁইয়া বাহিনী। মালদ্বীপ জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় শুরু হবে ম্যাচটি। বাংলাদেশের জন্য এটি ডু অর ডাই ম্যাচ। বলা যায় এবারের সাফে বাংলাদেশের জন্য এটা অঘোষিত ‘সেমিফাইনাল’ও। জিতলে ফাইনাল আর পয়েন্ট হারালে বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামতে হচ্ছে জামালদের।
ফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে মালদ্বীপের সাফে এবার দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। লিগ পর্বের প্রথম দু’মাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এবং ভারতের বিপক্ষে ড্র করে স্বপ্নপূরণে ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছিলো তারা। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপের কাছে হেরে ফাইনালে খেলা অনেকটাই কঠিন করে তোলেন জামালরা। ফলে লিগের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। আর এটা করতে হলে ফুটবলারদের মাঠে নিজেদের সেরাটাই ঢেলে দিতে হবে। যা করতে প্রস্তুত আছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। গতকাল বিকালে মালেতে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যই জানান লাল-সবুজদের স্প্যানিশ কোচ এবং অধিনায়ক।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সাতবারের লড়াইয়ের প্রথম চার ম্যাচেই নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সর্বশেষ তিনবারের সাক্ষাতে হিমালয়ের দেশটির সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। যে কারণে মনস্তাত্তিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে আছেন অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা। তবে তিন বছর আগে কিংবা সাত মাস আগে কী ঘটেছে তা নিয়ে ভাবতে চান না অস্কার ব্রুজোন ও জামাল ভূঁইয়া। তাদের আশা স্বপ্নপূরণে নেপালের বিপক্ষে জয় তুলে ফাইনালের পথে এগিয়ে যাবে লাল-সবুজরা।
সংবাদ সম্মেলনে অস্কার বলেন,‘এখন আমরা এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখান থেকে ফাইনাল মাত্র এক পা দূরে। বাংলাদেশের সবারই চাওয়া ফাইনালে খেলা। ছেলেরা এখন পর্যন্ত দারুণ কাজ করে এসেছে। আমাদের ফুটবলের যে উন্নতি হচ্ছে তা বুধবার মাঠেই প্রমাণের সুযোগ। আমার দল পুর্ণশক্তি এবং উদ্দীপনা নিয়েই নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে। আশাকরি তাদের হারিয়ে ফাইনালে খেলতে পারবো।’ কোচের সুরেই কথা বললেন অধিনায়ক জামাল ভূইয়ারও,‘মাল™^ীপ ম্যাচে কি হয়েছে তা আমরা ভুলে গেছি। এখন আমাদের সামনে ফাইনালের হাতছানি। সমীকরণও সহজ;জিতলেই ফাইনাল। তাই আমরা নেপালকে হারিয়ে ফাইনাল খেলতে চাই। স্বপ্নপূরণে এগিয়ে যেতে চাই।’
সাফে তিন বছর আগের স্মৃতি ফিরে এসেছে পর্যটন নগরী মালেতে। ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাফে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে এই নেপালের বিপক্ষে ড্র করলেই সেমিফাইনালে পা রাখতেন জামালরা। কিন্তু ২-০ গোলে হেরে ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টে দর্শক বনে যান তপু বর্মন-সাদ উদ্দিনরা। সেই একই অবস্থানে মালদ্বীপে এবার দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া নেপালের জন্য ফাইনালে ওঠার সমীকরণ মেলাতে হলে প্রয়োজন শুধুমাত্র ড্র। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের সামনে ফাইনালে যাওয়ার একটাই পথ জয়। নেপালকে হারাতে পারলে ২০০৯ সালের পর সাফের প্রথম রাউন্ড পেরুনোর কৃতিত্ব অর্জন করবে বাংলাদেশ। আর ২০০৫ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল আসরের ফাইনালে খেলার টিকিট পাবে লাল-সবুজরা।
হাল ছাড়ছেন না রাকিব-বিশ^নাথরা। মাল™^ীপের বিপক্ষে হারের কারণ হিসেবে টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তিকে সামনে এনেছিলেন তারা। তবে এবার পাঁচ দিনের বিরতিতে সতেজ হয়েই নেপালের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর নেপাল বিশ্রাম পেয়েছে মাত্র দুইদিন। এখানেই বাংলাদেশ এগিয়ে। কিন্তু ফিফা র্যাঙ্কিং এবং সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে কিন্তু লাল-সবুজদের চেয়ে এগিয়ে আছে নেপালই। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ যেখানে ১৮৯তম স্থানে রয়েছে সেখানে ২১ ধাপ এগিয়ে নেপাল আছে ১৬৮ নম্বরে। মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৩-৮ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও নিকট অতীতের দেখায় নেপালের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ২৯ মার্চ কাঠমান্ডুতে তিন জাতি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হিমালয়ের দেশটির কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় জামালদের। ওই ম্যাচে অবশ্য কোচের দায়িত্বে ছিলেন ব্রিটিশ জেমি ডে। আর এখন স্প্যানিশ অস্কার ব্রুজোন। দীর্ঘদিন পর সাফে কার অধীনে সাফল্যের মুখ দেখে বাংলাদেশের ফুটবল? তা দেখার অপেক্ষায় আছেন দেশের কোটি ফুটবলপ্রেমী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।