গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অবশেষে নগরীতে খোলা নালায় পড়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের কমিটি কাজ করছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো চিঠিতে নালায় পড়ে মৃত্যুর ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করা হয় এবং এজন্য দায়ী কে- তা তদন্ত করে প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে সিএমপি কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, সিডিএর সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী, সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী এবং নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালককে সদস্য করা হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এই কমিটি প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার কমিটির প্রথম সভা অনুষ্টিত হবে বলে জানা গেছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডে পা পিছলে নালায় পড়ে মারা যান আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া (১৯)। এর আগে ২৫ আগস্ট মুরাদপুর এলাকায় নালায় পা পিছলে পড়ে ডুবে যান সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান মেলেনি। গত ৩০ জুন চশমা খালে অটোরিকশা পড়ে গেলে চালক ও এক যাত্রী ডুবে মারা যান।
এসব ঘটনার পর ঘটনাস্থলে রশি টেনে বা বাঁশ দিয়ে সাময়িক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে কর্তৃপক্ষ। তবে স্থায়ী কোন সমাধান করা হচ্ছে না। আবার একের পর এক মৃত্যুর দায়ও কেউ নিতে চাচ্ছে না। ঘটনার জন্য সিডিএ এবং সিটি কর্পোরেশন একে অপরকে দোষারোপ করছে। আর এই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ঘটনার তদন্ত করতে বলা হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।