Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জেগে উঠা চর বন্দোবস্ত দিলে ডিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

চার নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

সারাদেশে ছোটবড় প্রায় ২৫০টি নদী আছে। প্রতি বছর দেশের ৩২ কিলোমিটার ভূমি নদী ভাঙন ও সমুদ্রে হারিয়ে যাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও পদ্মা নদী দিয়ে ১০০ কোটি টন পলি বঙ্গোপসাগরে পড়ছে। এই পলি মাটিতে জেগে উঠছে নতুন চর। সেই জেগে উঠা চর এবং এলাকাগুলোর জরিপকার্য সম্পাদনপূর্বক মৌজা ম্যাপ চূড়ান্তকরণ ব্যতিরেকে জেলা প্রশাসকরা আর বন্দোবস্ত দিতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটলে ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার। বিদ্যমান আইন এবং আদালতের রায়ের আলোকে এসব জটিলতা নিরসনে চার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গতবছর ১৭ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আন্ত:জেলা সীমানা বিরোধের নিম্পত্তির ভিত্তি হবে সিএস রেকর্ডের সীমানা ও বাউন্ডারী শীর্ষক গবেষণার সুপারিশের আলোকে ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বলা হয়, প্রাকৃতিক নিয়মে নদীর অবস্থান পরিবর্তনের ফলে আন্ত:জেলা সীমানা বিষয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আন্ত:জেলা সীমানা বিরোধের নিম্পত্তির ভিত্তি হবে সিএস রেকর্ডে নির্ধারিত সীমানা বা বাউন্ডারী। বিদ্যমান আইন এবং আদালতের রায়ের আলোকে এসব জটিলতার নিরসন হওয়া প্রয়োজন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আন্ত: জেলা সীমানা দ্বন্দ্ব নিরসনের ক্ষেত্রে সিএস ম্যাপের ভিত্তি ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সুবিধা এবং জনমত বিবেচনা করে প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে বিধি মোতাবেক নিকারের বৈঠকে প্রস্তাব করতে হবে। নদী সিকস্তি এবং পয়স্তির ক্ষেত্রে সার্ভে আইন, ১৮৭৫, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন ১৯৫, সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট ম্যানুয়াল, ১৯৩৫সহ ভূমিসংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন অনুযায়ী সরকারি কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসক এবং ভূমি রেকর্ড ও জড়িপ অধিদপ্তর প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নদীর গতি পরিবর্তন ও অবস্থান তারতম্যের কারণে জেগে উঠা চর এবং এলাকাগুলো জরিপকার্য সম্পাদন-পূর্বক মৌজা ম্যাপ চূড়ান্তকরণ ব্যতিরেকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন বন্দোবস্ত প্রদান করবে না। এ ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটলে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপরোক্ত সিদ্ধান্তের আলোকে বিভিন্ন জেলায় আন্ত:জেলা সীমানা বিরোধসহ এ সংক্রান্ত অন্যান্য জটিলতা নিরসনের জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে চিঠিতে বলা হয়।

সভায় ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সারাদেশে জমির সীমানা নির্ধারণে স্থায়ী ডিজিটাল পিলার বসানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এতে নদী ভাঙ্গনের ফলে ভূমির সিকস্তি ও পয়স্তি হলেও সীমানা সুনির্দিষ্ট থাকবে।
জানা গেছে, প্রতিবছর বাংলাদেশের ৩২ কিলোমিটার ভূমি নদী ভাঙন ও সমুদ্রে হারিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ছোট-বড় প্রায় ২৫০টি নদী আছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও পদ্মা নদী দিয়ে ১০০ কোটি টন পলি বঙ্গোপসাগরে পড়ছে। এই পলিমাটিতে জেগে উঠছে ৫২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নতুন চর। নোয়াখালী উপকূলের চর নাঙ্গুলিয়া। তিন দশক আগেও যা ছিলো বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশির অংশ। আজ তা সমৃদ্ধ গ্রামে পরিণত হয়েছে। পদ্মা, মেঘনা ও ব্রক্ষ্মপুত্রের বয়ে আনা পলিতে গত ১০০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগ হয়েছে চর নাঙ্গুলিয়ার মতোই প্রায় দুই হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরে গড়ে প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি যুক্ত হচ্ছে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নরত ‹চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্প-বিজিং› প্রকল্পের এক প্রকাশনায় বাংলাদেশ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসের (সিইজিআইএস) বরাতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। সিইজিআইএস-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশের ৩২ কিলোমিটার ভূমি নদী ভাঙন ও সমুদ্রে হারিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও পদ্মা নদী দিয়ে ১০০ কোটি টন পলি বঙ্গোপসাগরে পড়ছে। এই পলি মাটিতে জেগে উঠছে ৫২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নতুন চর। ভাঙা-গড়ার এ খেলায় প্রতি বছরই ২০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের মূল্য ভূখণ্ডের। ৩২ বছরের স্যাটেলাইট ইমেইজ বিশ্লেষন করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

১৯৭২ সাল থেকে ১৩ জুলাই ১৯৯৪ সালের মধ্যে জমি নদী বা সমুদ্রগর্ভে ভেঙে গিয়ে আবার চর হিসেবে জেগে উঠলে সেই চরের মালিক হতো সরকার। তবে ১৩ জুলাই ১৯৯৪ সালের আগে জেগে ওঠা চর যদি সরকার বা জেলা প্রশাসক বন্দোবস্ত দিয়ে থাকে তবে বন্দোবস্ত গ্রহীতা মালিক হতো। ১৩ জুলাই ১৯৯৪ সালে নতুন আইন জারি করা হয়েছে। এই আইনে নদীগর্ভে কারও জমি ভেঙে গেলে এবং সেই জমি ৩০ বছরের মধ্যে জেগে উঠলে পুরানো মালিক সেই চরের মালিক হবে। ত্রিশ বছরের মধ্যে জেগে না উঠলে অবশ্য সরকার মালিক হবে। কিন্তু সরকারকে এই জমি দখল নিতে দেখা যায় না।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ১৯১৩ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ১০০ বছরে বঙ্গোপসাগরের নোয়াখালী উপকূল ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রসারিত হয়েছে। মেঘনার ভাঙন থেকে নোয়াখালীকে রক্ষা করতে ১৯৫৭ সালে ও ১৯৬৪ সালে দুটি ক্রসডেম নির্মাণ করা হয়। ফলে পলি মাটি জমে সে অঞ্চল উঁচু হয়ে যায়। আশপাশে জাগতে শুরু হয় নতুন নতুন চর। ১৯৮০ সাল থেকে নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তায় এসব চরে ভূমি উদ্ধার প্রকল্প, চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের অধীনে বঙ্গোপসাগরের বুকে নদীর বালুকণা ও পলিতে গড়া দ্বীপগুলো বর্তমানে সবুজ খামার বাড়িতে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত গত সাড়ে ২৩ বছরে ৩৬ হাজার ২৮১টি ভূমিহীন পরিবারকে ৮৩ হাজার ৭৯৮ একর খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়েছে সরকার। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে আরও ৫ হাজার ৭১৯টি ভূমিহীন পরিবারকে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৮ জুন ১৯৭২ সাল থেকে ১৩ জুলাই ১৯৯৪ সালের মধ্যে জমি নদী বা সমুদ্রগর্ভে ভেঙ্গে গিয়ে আবার চর হিসেবে জেগে উঠলে সেই চরের মালিক হতো সরকার। তবে ১৩ জুলাই ১৯৯৪ সালের আগে জেগে ওঠা চর যদি সরকার বা জেলা প্রশাসক বন্দোবস্ত দিয়ে থাকে তবে বন্দোবস্ত গ্রহীতা মালিক হতো। ১৩ জুলাই ১৯৯৪ সালে নতুন আইন জারি করা হয়েছে। এই আইনে নদীগর্ভে কারও জমি ভেঙে গেলে এবং সেই জমি ৩০ বছরের মধ্যে জেগে উঠলে পুরানো মালিক সেই চরের মালিক হবে। ত্রিশ বছরের মধ্যে জেগে না উঠলে অবশ্য সরকার মালিক হবে। কিন্তু সরকারকে এই জমি দখল নিতে দেখা যায় না।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯১৩ সালে নোয়াখালী উপকূলের তটরেখা ছিল বতর্মান জেলার সোনাপুরের কাছাকাছি। তবে পরের ১০০ বছরে তা ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রসারিত হয়ে কেয়ারিংচর চরে এসে ঠেকে। মূলত মেঘনার ভাঙন থেকে নোয়াখালীকে রক্ষা করতে ১৯৫৭ ও ১৯৬৪ সালে দুটি ক্রসডেম নির্মাণ করা হয়। ফলে পলিমাটি জমে সে অঞ্চল উঁচু হয়ে যায়। আশপাশে জাগতে শুরু হয় নতুন নতুন চর। এছাড়া ১৯৮৬ সালে ফেনী নদীর মোহনায় মুহুরী বাঁধের কারণে বিশাল চরের বিকাশ ঘটে। গুগল স্যাটেলাইট ইমেজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই সীমানা আরও প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে প্রসারিত হয়েছে। মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে জেগে উঠা ‹ছোট চর› ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে, অচিরেই যা দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে মিশে যাবে। তবে সিইজিআইএস-এর তথ্যমতে, বাংলাদেশে নতুন ভূখণ্ড জেগে ওঠার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ১৯৫০ সালের আসাম ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে ভূমিধসের ফলে হিমালয় থেকে নদীগুলো বেয়ে বিপুল পরিমাণ পলি নেমে আসতে থাকে। ফলে ১৯৪৩ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত সময়কালে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রতি বছর ৪৩ বর্গকিলোমিটার করে ভূমি জেগে ওঠে। ওই সময়েই নোয়াখালী ও ফেনী জেলার বেশির ভাগ ভূমি গড়ে ওঠে বলে সংস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে। ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) হিসেবে, ১৭৮০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ২০০ বছরে বাংলাদেশের দক্ষিণে ৬২৯ বর্গকিলোমিটার আয়তন বেড়েছে। পরের ৪১ বছরে ভূমি উদ্ধার প্রকল্প ও চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন করা হয়েছে আরও ৮৩ হাজার ৭৯৮ একর জমি। গত ১০০ বছরে নতুন জেগে উঠা চরের তালিকায় রয়েছে- নোয়াখালী উপকূলের নিঝুমদ্বীপ, নলেরচর ও কেয়ারিংচর; চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলারি উত্তর-পশ্চিমে উড়ির চর ও ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে ভাসানচরসহ অনেক দ্বীপ। প্রায় দুই দশক আগে জেগে ওঠা ভাসানচরে ইতোমধ্যেই ১৮,৩৪৭ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভাসানচরের দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে জেগেছে ১০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাঙ্গুরিয়ার চর। চার-পাঁচ বছরের মধ্যে গাঙ্গুরিয়ার চরে চাষাবাদ শুরু হবে বলে স্থানীয়রা আশা করছেন। মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় যে পরিমাণ ভূমি বিলীন হচ্ছে, বিপরীতে এর চারপাশে অন্তত ১০ গুণ ভূমি জেগে উঠছে। এছাড়া হাতিয়ার পশ্চিমে নতুন করে জেগে উঠেছে ঢালচর, চর মোহাম্মদ আলী, চর ইউনুস, চর আউয়াল, মৌলভীরচর, তমরুদ্দিরচর, জাগলারচর, ইসলামচর, নঙ্গলিয়ারচর, সাহেব আলীরচর; দক্ষিণে কালামচর। এছাড়া হাতিয়া নদীতে সাতটি চর জেগেছে। এর মধ্যে কলাতলী, তেলিয়ার চর, বদনার চর, ঢাল চর ও মৌলভীর চরে বনায়ন ও চাষাবাদ চলছে। আগামী এক দশকে এসব চরের আয়তন দাঁড়াবে প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার।

হাতিয়ার উত্তরে গত দেড় দশকে জেগেছে ইসলাম চর, জাহাইজ্জার চর, সাহেব আলীর চরসহ অন্তত ১৫টি দ্বীপ। এ ছাড়া উড়ির চরের পাশেও কয়েকটি চর জাগছে। এসব চরের কোনোটি জোয়ারে ডুবে যায়, ভাটায় আবার ভেসে উঠে। কোনোটির কিছু অংশ জোয়ারেও ডোবে না। একটু পানির নিচে থাকা নতুন করে জেগে ওঠা এমন ৩০-৪০টি ডুবোচর রয়েছে, যেগুলো পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে জেগে ওঠার রয়েছে অপেক্ষায়। এছাড়া বরিশাল, খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাগরের বুক চিড়ে জেগে উঠছে নতুন নতুন ভূখণ্ড। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব চরের ভূমির পরিমাণ হবে প্রায় ৩৩ হাজার বর্গকিলোমিটার।

সিইজিআইএস-এর রিমোর্ট সেন্সিং ডিভাইস বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে নোয়াখালী উপকূলে নতুন চর জেগে উঠা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এর আগের ৩২ বছরের স্যাটেলাইট ইমেইজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার নতুন ভূখণ্ড যুক্ত হচ্ছে। তবে সম্প্রতি ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও পদ্মা নদী দিয়ে পলি নেমে আসার পরিমাণ কমেছে। একই সঙ্গে নতুন জেগে উঠা চর বিভিন্ন কারণে হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:৩২ এএম says : 0
    কি কারনে দিবে না,যারা গরিব থাকবে কোথায় ডিসি সাহেব,আপনি ওদের অবশ্যই থাকার জায়গা দিবেন,তবে যাচাই করে দেওয়া উচিত,যাদের আছে তাদের দেওয়া যাবে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ