Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইএমএফের ১২৪ মিলিয়ন ডলারের ঋণসহায়তা অনুমোদন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

২৪টি নিম্ন আয়ের দেশের জন্য ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের ঋণসহায়তা স¤প্রসারণের অনুমোদন নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদ। ক্যাটাস্ট্রপি কনটেইনমেন্ট অ্যান্ড রিলিফ ট্রাস্টের (সিসিআরটি) আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে এ ঋণসহায়তার অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ ডটকম। ২০২০ সালের আগস্টে শুরু হওয়া এ ঋণসহায়তা কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশকে ৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল, একই বছরের ২ অক্টোবর ও চলতি বছরের ১ এপ্রিল পর্যন্ত তিন পর্যায়ে ঋণসহায়তা অনুমোদন করে আইএমএফ। এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য দিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফ জানায়, কভিড-১৯ মহামারীর ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মৌলিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পরিষেবা খাতে আর্থিক সংকট মেটাতে এবং কভিডের প্রভাব সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে এ ঋণসহায়তা কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখবে। সিসিআরটির সম্পদের সহজলভ্যতা ও প্রাপ্যতার ওপর এ ঋণসহায়তা কার্যক্রম নির্ভর করে বলেও জানায় আইএমএফ। সংস্থাটি আরো জানায়, ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সুবিধাভোগী দেশগুলোর জন্য এ ঋণসহায়তা কার্যক্রম প্রদান অব্যাহত থাকবে। বিশ্বব্যাপী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কভিড-১৯ জনিত সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বেশ বড় আকার ধারণ করেছে বলে জানান অর্থনীতিবিদরা। এমনকি এ ক্ষতির পরিমাণ ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অর্থনীতিতে বৈশ্বিক সংকটকালীন ক্ষতির চেয়েও বেশি। ইউএন কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সূত্রে জানা যায় আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের কভিডকালীন ক্ষতির পরিমাণ অন্যান্য দেশের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে অসম অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে উন্নয়নশীল দেশগুলো এক দশক হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য এসব দেশে নবায়নকৃত আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজন। ২০২০ সালের মার্চে বিশ্বব্যাপী মহামারী শুরুর সময় আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্রিস্টালিনা জর্জিভা জরুরি তহবিল সংগ্রহ কর্মসূচি হাতে নেন। এর মাধ্যমে তিনি ১৪০ কোটি ডলার সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন। সিসিআরটি কর্তৃক সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য ঋণসহায়তা প্রদান কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে এ তহবিল সংগ্রহে উদ্যোগী হন আইএমএফ এমডি। আইএমএফের নির্বাহী কমিটি জোর দিয়ে জানায় যে, ভবিষ্যতে সিসিআরটি সহায়তার জন্য প্রযোজ্য অন্য দেশগুলোকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আরো সম্পদের প্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যেহেতু ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশকে সিসিআরটির আওতায় ঋণসহায়তা প্রদান করা হবে, সেহেতু এ অর্থের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতে কাজ করবে আইএমএফ। এ সময় কিরগিজ প্রজাতন্ত্র ও লেসেথোকে সিসিআরটি সুবিধাভোগী দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে অনুমোদন দেয় সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ। ফলে এখন থেকে ঋণসহায়তা কর্মসূচির আওতায় সাহায্য প্রাপ্তির উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে দেশ দুটি। চতুর্থ প্রর্যায়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্র ও লেসেথোর পাশাপাশি ঋণসহায়তা প্রাপ্তির উপযুক্ত হিসেবে আর কোনো দেশের নাম ঘোষণা করেনি আইএমএফ। ন্যাশনাল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইএমএফ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ