মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা জিওফ্রে ওকামোতো আশার বাণী শুনিয়ে বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি শক্তিশালীভাবে পুনরুদ্ধারের পথে এবং এর কিছু ইঙ্গিতও দেখতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি তিনি কিছু শঙ্কার কথাও বলেছেন। মুদ্রা তহবিলের এ কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাসের মিউটেশনের কারণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে। খবর রয়টার্স ও আইএমএফ। আইএমএফের প্রথম ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওকামোতো বলেছেন, জানুয়ারিতে আমরা পূর্বাভাস দিয়েছিলাম ২০২১ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ; কারণ দেশে দেশে বাড়তি আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল অংকের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিশ্বজুড়ে টিকাদান কর্মসূচি। আশা করি, এপ্রিলের শুরুর দিকেই আমরা বৈশ্বিক পূর্বাভাস ও বাস্তব চিত্র নিয়ে হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরতে পারব। চায়না ডেভেলপমেন্ট ফোরামে দেয়া বক্তব্যে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি আর উদীয়মান বাজারের মধ্যে ক্রমেই ব্যবধান বাড়ছে বলে সতর্ক করে দেন ওকামোতো। সেই সঙ্গে তিনি জানান, করোনা মহামারীর শুরু থেকে নয় কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। তিনি বলেন, বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সবার আগে করোনা-পূর্ব প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে চীন। চীনের হিসাব বাদ দিলে বাকি দেশগুলোর মধ্যে উন্নত অর্থনীতি আর উদীয়মান বাজারের মধ্যে ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৩৬ বছর বয়সী এ অর্থনীতিবিদ। আইএমএফ এক পূর্বাভাসে বলেছে, চীন বাদে বাকি উদীয়মান ও উন্নত দেশগুলোয় ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সামগ্রিক মাথাপিছু আয় মহামারীপ‚র্ব সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ কম হবে, যা কিনা আরো প্রচুর মানুষকে দারিদ্র্যসীমার মধ্যে ফেলে দেবে। ওকামোতোর মতে, সামগ্রিক রূপটা থাকবে ‘অবিশ্বাস্য রকম’ অনিশ্চিত। তিনি আরো বলেন, এটা নিশ্চিত নয় যে মহামারী কতদিন স্থায়ী হবে এবং করোনাভাইরাসের টিকা উন্নত ও উদীয়মান দেশগুলোয় সমভাবে বণ্টন হচ্ছে না। ওকামোতোর মতে, ব্যয় বাড়িয়ে মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা কিংবা অর্থনৈতিক ক্ষতি কমিয়ে আনার সংগতি খুব কম দেশেরই আছে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর কাঁধে উচ্চ ঋণের বোঝা। আইএমএফের এ কর্মকর্তার মতে, উচ্চ ঋণ নেয়া দেশগুলোয় কঠিন আর্থিক শর্তাবলি দেয়ার কারণে সংকট আরো বাড়তে পারে। রয়টার্স, আইএমএফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।