Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীন কর্তৃক ক্ষতবিক্ষত সৈন্যদের ছবি প্রকাশ করায় ভারতীয়রা ক্ষুব্ধ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৫:২৯ পিএম

২০২০ সালে হিমালয় সীমান্ত এলাকার গালওয়ান উপত্যকায় চীন-ভারত সংঘর্ষের সময় বন্দী ও খারাপভাবে আঘাতপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনা ও কর্মকর্তাদের ছবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় ভারতীয়রা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবিগুলো ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে, ভারতীয় সৈন্যরা প্রচণ্ড মার খেয়েছে এবং লম্বা কলামে মিছিল করে ফিরে যাচ্ছে, যখন চীনা সৈন্যরা পাহাড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। নতুন ছবিগুলো প্রাথমিকভাবে চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল এবং দেখিয়েছিল যে গালওয়ানে ২০২০ সালের চীন ও ভারতের সংঘর্ষের সময় ভারতীয় সৈন্যরা কীভাবে পরাস্ত হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে আহত ভারতীয় সৈন্যরা চীনা সেনাবাহিনীর (পিএলএ) হাতে বন্দী। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছবিতে দেখা যাওয়া সৈন্যরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬ বিহার রেজিমেন্টের অন্তর্ভুক্ত যারা তাদের কমান্ডিং অফিসারকে চীনা সেনাদের দয়ায় রেখে পালিয়ে যায়।

২০২০ সালের শুরু থেকে ভারত ও চীনের মধ্যে অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। চায়না ডেইলি তার ৯ অক্টোবরের প্রকাশনায় চীনা সেনাবাহিনীর সূত্র উদ্ধৃত করে বলেছে যে, ২৮ সেপ্টেম্বর চীনা সীমান্ত রক্ষীরা ডংঝাং এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। চীন-ভারত সীমান্তের চীনা দিক, কিন্তু ভারতীয় পক্ষ তাদের ‘অযৌক্তিকভাবে অবরুদ্ধ’ করে। চীনা অফিসার এবং সৈন্যরা ‘দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করেছে এবং টহল মিশন শেষ করে ফিরে এসেছে’। কাগজটি চীনা উৎসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে, ডংঝাং এলাকাটি চীনের অন্তর্নিহিত অঞ্চল, এবং চীনা সীমান্ত রক্ষীদের তাদের নিজস্ব অঞ্চলে টহল দেয়া সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত এবং আইনী ছিল।

এটি চীনের সৈন্যদের ‘সীমা অতিক্রম’ করার জন্য আটক হওয়ার বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রচারকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এটিকে মিথ্যা এবং সত্যের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে। কাগজটি উল্লেখ করেছে যে, দায়িত্বটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় পক্ষের উপর নির্ভর করে। ইকোনমিক টাইমস অনুসারে, গত মাসে উত্তরাখণ্ডের বারহোতিতে ১০০জনেরও বেশি পিএলএ সৈন্য সীমান্ত অতিক্রম করেছে, তারা পিছু হটার আগে একটি সেতু সহ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে চীন ছবিগুলো প্রকাশ করেছে। ছবিগুলো স্পষ্ট প্রমাণ দেয় যে, কীভাবে ভারতীয় সৈন্যরা চীনা সেনাবাহিনীর কাছে পরাজিত হয়েছিল এবং চীনা সৈন্যদের দ্বারা পরাস্ত হওয়ার পর শত শত বন্দী হয়েছিল।



 

Show all comments
  • Abdul Wahab ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৫:৩৮ পিএম says : 1
    Now time is coming again.
    Total Reply(0) Reply
  • Sajjad Chowdhury ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৬ পিএম says : 0
    মা-র খেয়ে অস্বীকার করা বুদ্ধিমানদের কাজ... ভারতের মিডিয়া সে ভাবে প্রচার করেছে
    Total Reply(0) Reply
  • R Ahmed ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৬ পিএম says : 0
    দুই একটি কে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা উচিৎ ছিলো।
    Total Reply(0) Reply
  • Khokan Shahnawaz Hossain ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৭ পিএম says : 0
    মাইর শুরু হইছে দশটা মারলে একটা খাইতে হয় ঐটা চায়না বাংলাদেশ না যে পাখির মত গুলি করে মারবা?
    Total Reply(0) Reply
  • S Saheen Prince ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৭ পিএম says : 0
    দাদা বাবুরা এবার ওখান থেকে প্যাদানী খেয়ে এসে, এখন আমাদের বাপ মা তুলে গালি দেবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Bin Ahammed ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৭ পিএম says : 0
    আসলেই ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা!! নিজেদের বেলায় হলে ক্ষুব্ধ!! আর বাংলাদেশ সীমান্তে নিরীহ জনগণকে শুধু শুধু হত্যা করে তা কিছু না!!
    Total Reply(0) Reply
  • Delwar Hossen Rafin ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৭ পিএম says : 0
    যে ডিরেক্টর ভেবেছিল সিনেমা বানাবে তার কথা চিন্তা করে খারাপ লাগছে
    Total Reply(0) Reply
  • Ashraf Hossain ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৭ পিএম says : 1
    প্রকাশ করা ঠিক হয়নি । শত হলেও ওদের পরিবার আছে। মানুষের কাছে মুখ দেখাবে কি করে।
    Total Reply(0) Reply
  • Sazib Aziz ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৮ পিএম says : 0
    ভালো মাইর দিছে আমাদের নিরিহ মানুষের রক্তের শোধ
    Total Reply(0) Reply
  • MD Ziaul Islam ১১ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৮ পিএম says : 0
    আমার মনে হয় চীন সেনারা ওদের সুষ্ঠ ভাবে মারছে, কোনো স্বজন পৃতি করেনায়। সবার একই অবস্থা
    Total Reply(0) Reply
  • ahsan habib ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ৬:৪৩ পিএম says : 0
    পাকিস্তানের সার্জিক্যাল হা্মলা্র সময়েও ভারতীয় গণমাধ্যম ও সরকার যে সংবাদ দিয়েছিল তাও বাস্তবের সাথে মেলেনি আসলে ভারতীয় সংবাদে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা কি বেশি থাকে ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ