মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একাধিক আন্তর্জাতিক জরিপে দেখা গেছে, যৌন সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকির কারণে ভারতকে নারীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে উচ্চ পর্যায়ের বিদেশী গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও নিরাপদ নয়।
গত বুধবার ভারতের চণ্ডীগড়ে ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনে নিযুক্ত একজন নারী কূটনীতিক টেনিস খেলতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল আরোহী দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হন। হিন্দুস্তান টাইমস অনুসারে, ৬০ বছর বয়সী ওই কূটনীতিক, যিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, স্থানীয় পুলিশের কাছে তার অভিযোগে বলেন যে, ঘটনাটি ঘটেছিল যখন তিনি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার বাসা থেকে বেরিয়ে টেনিস কোর্টের দিকে হাঁটছিলেন। দূত বলেছিলেন যে, পিছন থেকে আসা একজন মোটরসাইকেল আরোহী তাকে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করেছিল এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি করার চেষ্টা করেছিল। ‘আমি আবাসিক বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম যখন আমার পিছনে একটি মোটরসাইকেল এসেছিল। আরোহী আমাকে তার হাত বা অন্য কিছু দিয়ে আমার পিঠে আঘাত করে। আমি চিৎকার করে তার পিছনে দৌড়ালাম কিন্তু সে পালিয়ে গেল,’ তিনি পুলিশকে বলেন।
টেনিস কোর্টে পৌঁছানোর পর, ৬০ বছর বয়সী এই মহিলা তার কোচকে ঘটনাটি জানিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা একটি মামলা দায়ের করেছে এবং অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে। নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের রেকর্ড কখনও বিশ্বব্যাপী মনোযোগ থেকে খুব বেশি দূরে নয়। কয়েক বছর ধরে, ভারত নারীদের জন্য একটি অনিরাপদ দেশ হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত একটি জরিপে ভারতকে ‘যৌন সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকির কারণে এবং দাসশ্রমে বাধ্য করার কারণে মহিলাদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ’ হিসাবে স্থান দেয়া হয়েছে।
জরিপটি উত্তরদাতাদের জিজ্ঞাসা করেছিল যে, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনৈতিক সম্পদ, সাংস্কৃতিক বা ঐতিহ্যগত চর্চা, যৌন সহিংসতা ও হয়রানি এবং মানব পাচার এই পাঁচ সূছকে কোন দেশটি মহিলাদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক? উত্তরদাতারাও যৌন দাসত্ব এবং গৃহকর্মী সহ মানব পাচারের ক্ষেত্রে এবং জোরপূর্বক বিবাহ, পাথর ছোঁড়া এবং মহিলা শিশুহত্যার মতো প্রথাগত অনুশীলনের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ভারতকে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভারতের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় জরিপের ফলাফলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ভারতে ৩২ হাজারেরও বেশি ধর্ষণ রেকর্ড করা হয়েছিল। অর্থাৎ, প্রায় প্রতি চার ঘন্টায় একটি ধর্ষণ করা হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, যৌন অপরাধের সাথে জড়িত কলঙ্কের কারণে অনেকেই অভিযোগ করেন না। ফলে প্রকৃত পরিসংখ্যান আসলে অনেক বেশি। একই সময়ের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মহিলাদের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ২০১২ সালে নয়াদিল্লিতে গণধর্ষণের পর ভারতের ধর্ষণ আইনগুলো সংশোধন করা হয়েছিল কিন্তু ২০২০ সালে ২৮ হাজারেরও বেশি ধর্ষণের অভিযোগের সাথে অপরাধের সংখ্যা বেশি রয়ে গেছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও দীর্ঘদিন ধরে হিংসাত্মক অপরাধ প্রতিরোধে যথেষ্ট কাজ না করা এবং যৌন নিপীড়নের মামলা আদালতে আনতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।