মোবাইল ফোনে পরিচয় থেকে মাঝে মধ্যে চলতো খুনসুটি। কিশোরীর বয়স কেবল ১৫ হলেও প্রেমিকের আছে বউ-বাচ্চা, সব জেনেও চলছিল অদম্য প্রেমালাপন। প্রথম সাক্ষাতেই প্রেমিকের ধর্ষণের শিকার হন ওই কিশোরী। শুধু প্রেমিক নয়, প্রেমিকের মামাও অংশগ্রহণ করেন এই ধর্ষণে। পরে আরও একজন অংশ নিতে চাইলে কান্না আর ক্ষমা প্রার্থনায় রক্ষা পায় ওই কিশোরী।

ঘটনা টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের দোলালিয়া গ্রামে ঘটে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় লক্ষিন্দর ইউনিয়নের মুরাইদ গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে মোস্তফা (২৩) এবং একই এলাকার মফেজ উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জলকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাগরদীঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মনিরুজ্জামান (ইন্সপেক্টর) এবং কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিশোরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় মোস্তফার। মাঝে মাঝে কথা হতো। গত দুই দিন আগে ওই কিশোরী পরিবারের সঙ্গে রাগ করে চাকরির খোঁজে চলে যায় গাজীপুর। কোথাও চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পরে ওই কিশোরী। পরে মোস্তফাকে বিষয়টি জানালে, তিনি ওই কিশোরীকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে তার কাছে ডেকে নেন। মোস্তফা তাকে পরের দিন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে এক রাত অপেক্ষা করতে বলেন। মোস্তফা ওইদিন রাতে তার প্রতিবেশী এক মামা মোফাজ্জল হোসেনের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায় তাকে। পরে মামা ভাগ্নে দুইজনে মিলে পালাক্রমে তার উপর অত্যাচার চালায়।

তিনি আরও বলেন, তখন কিশোরী চিৎকার করলে মোস্তফা তার মামাকে টেলিভিশনের ভলিয়ম বাড়িয়ে দিতে বলেন। কিশোরীকে নানা ভয় দেখিয়ে চলতে থাকে পাশবিকতা। তখন আরও একজন উপস্থিত হয় এতে অংশ নিতে। কিন্তু মেয়েটি কান্না করে ক্ষমা চাওয়ায় বেঁচে যায় তার হাত থেকে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে সাগরদীঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে, স্থানীয় লোকজনসহ পুলিশ তাদের আটক করেন। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।