মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের কোনো এক কোষাগারে রক্ষিত মুঘল আমলের হিরা-পান্না খচিত দুটি চশমা নিলামে উঠছে। সাধারণ চশমার গ্লাসের বদলে বসানো মোটা পাতের পান্না, অন্যটিতে বসানো হিরা। ফ্রেমের দু’পাশে বসানো আছে হিরা। মুঘল আমলের এমনই দু’টি দুর্লভ চশমা নিলামে উঠেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, চশমা দু’টির দাম উঠতে পারে ৩৫ লাখ ডলার। বাংলাদেশের মুদ্রায় যার দাম, ২৯ কোটি ৮ লাখেরও বেশি।
নিলাম সংস্থা সথেবিজ জানিয়েছে, চশমাগুলোতে হীরা ও পান্নার লেন্সের সঙ্গে মুঘল আমলের ফ্রেমগুলি ১৮৯০ সালের কাছাকাছি সময়ে জুড়ে দেওয়া হয়েছিলো। খবর বিবিসির।
আর্টনিউজ ডটকম জানিয়েছে, পান্নার চশমাটির নাম গেইট অব প্যারাডাইস বা স্বর্গদ্বার, আর হীরারটির নাম হালো অব লাইট বা আলোর দীপ্তি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিলামের আগে অক্টোবরে চশমা দুটি হংকং ও লন্ডনে প্রদর্শিত হবে।
এ চশমাগুলো মুঘল আমলে বানানো বলে ধরে নেওয়া হলেও, কোন সম্রাটের আমলে বানানো হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে ভারত শাসন করা মুঘলরা শিল্প-সংস্কৃতির কদর ও অনন্য স্থাপত্য কৌশলের জন্য পরিচিত ছিল।
সথেবিজ জানায়, এমন চশমা বিশ্বজুড়ে বিরল। এর একটির দুটি লেন্সই বানানো হয়েছে আস্ত একটি হীরা কেটে, অন্যটির লেন্সজোড়া এসেছে বড় একটি পান্না থেকে।
সথেবিজ আরও জানায়, এ রত্নগুলোর মান ও বিশুদ্ধতায় অনন্য। পাথরগুলোর যে আকার, তাতে এগুলো যে কোনো সম্রাটের কোষাগারেই ছিল, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
হীরার লেন্সদুটি যে হীরা থেকে বানানো হয়েছে, সেই প্রাকৃতিক হীরকখণ্ডটি দক্ষিণ ভারতের গোলকোন্ডা খনি থেকে পাওয়া গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অশ্রুফোঁটা-আকৃতির পান্নার লেন্সগুলোও তৈরি হয়েছে আস্ত একটি প্রাকৃতিক কলম্বিয়ান পান্না থেকে।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, গোলকোণ্ডায় ২০০ ক্যারাটের হিরা এবং কলম্বিয়ান পান্না দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ওই চশমাগুলি। মহামূল্যমান এই চশমাগুলো যেকোনো অশুভ শক্তিকে রুখে দিতে সক্ষম বলে বিশ্বাস করা হতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।