মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্যারিস জলবায়ু চুক্তির পক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে মত দিয়েছেন তুরস্কের পার্লামেন্টের সদস্যরা। জি২০ দেশ হিসেবে একমাত্র তুরস্কই এতদিন এই চুক্তির বাইরে ছিল। চলতি বছরেই গ্লাসগোতে বসবে পরবর্তী জলবায়ু বৈঠক বা কোপ ২৬। ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বৈঠক। তুরস্কও সেখানে যোগ দেবে। তার আগেই পার্লামেন্ট এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল।
২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি সই হয়। বিশ্ব উষ্ণায়নের কথা মাথায় রেখে ওই চুক্তিতে স্থির হয়, অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যাতে বাড়তে না পারে, তার দিকে নজর রাখা হবে। শিল্পবিপ্লব কালের আগে পৃথিবীর তাপমাত্রার নিরিখে দুই ডিগ্রির চরমসীমা তৈরি করা হয়েছিল। আঙ্কারা সেই বৈঠকে যোগ দিলেও, এতদিন পর্যন্ত তুরস্কের পার্লামেন্ট ওই চুক্তিকে মান্যতা দিচ্ছিল না। পাঁচ বছর পর তারা সম্মতি দিল।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল কার্বন ফুটপ্রিন্ট এবং কার্বন নিঃসরণে। পৃথিবীর দেশগুলিকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড কান্ট্রি এবং ডেভেলপিং কান্ট্রি। অর্থাৎ, যে দেশে আধুনিক শিল্প তৈরি হয়ে গেছে এবং যে দেশে এখনো শিল্পের আধুনিককরণ চলছে। শিল্পোন্নত দেশগুলির উপর কড়া নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছিল ওই চুক্তিতে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্যই ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, উন্নয়নশীল দেশগুলির ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেয়া হয়েছিল। আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথাও বলা হয়েছিল।
তুরস্ককে রাখা হয়েছিল প্রথম পর্যায়ের দেশে। অর্থাৎ, শিল্পোন্নত দেশ। এখানেই আপত্তি ছিল তুরস্কের। সাংসদদের বক্তব্য, তুরস্কে এখনো শিল্প তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। ফলে তাকে দ্বিতীয় সারির দেশে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বুধবার তুরস্কের পার্লামেন্টেও এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা সরকারিভাবে চুক্তিতে ঢুকলেও তাদের দ্বিতীয় দেশের তালিকায় নিয়ে যেতে হবে। গ্লাসগোয় সে বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
জলবায়ু চুক্তিতে অংশগ্রহণ নিয়ে তুরস্কের প্রশাসনের উপর চাপ তৈরি করছিল দেশেরই একাংশের মানুষ। সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখেছে তুরস্ক। প্রবল বন্যা এবং দাবানল। যাতে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বর্তমান প্রজন্মের ৯০ শতাংশ চায়, জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে আরো সচেতন হোক সরকার। সে কারণেই জলবায়ু চুক্তিতে যোগ দেয়ার চাপ বাড়ছিল। সূত্র: রয়টার্স, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।