মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের গাড়িটিই লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের পিষে চলে গিয়েছিল। অবশেষে মঙ্গলবার এই সত্যটি স্বীকার কর অজয় মিশ্র দাবি করেন, গাড়িতে তার ছেলে ছিল না।
লখিমপুর খেরিতে স্লোগান দিতে দিতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন কৃষকরা। হঠাৎ, একটি এসইউভি এসে তাদের ধাক্কা মেরে চলে যায়। চারজন কৃষক মারা যান। এই ভিডিও সামনে আসার পর রীতিমতো আলোড়ন দেখা দিয়েছে। প্রথমে অস্বীকার করলেও এবার অজয় মিশ্র স্বীকার করলেন, ওই গাড়িটি তারই। এনডিটিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অজয় মিশ্র বলেছেন, ‘প্রথম দিন থেকে বলছি, গাড়িটি আমাদের। আমাদের নামে তার রেজিস্ট্রেশন আছে। আমাদের কিছু কর্মীকে নিয়ে আসার জন্য গাড়িটি যাচ্ছিল।’ তবে মন্ত্রীর দাবি, ওই গাড়িতে তিনি বা তার ছেলে ছিলেন না। তার ছেলে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্য সভাস্থলে ছিল। সে অন্য একটি ইভেন্টের দায়িত্বে ছিল।
মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি যা বলছি, তার সমর্থনে ছবি ও ভিডিও আছে। ছেলের ফোনের কল রেকর্ড চেক করা হোক। লোকেশন চেক করা হোক। তাছাড়া হাজার হাজার মানুষ সাক্ষ্য দেবে, আশিস মিশ্র কোথায় ছিল।’ মন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, গাড়ির চালককে মারা হয়েছে। দুই জন কর্মীকে মারা হয়েছে। একজন কর্মী পালাতে পেরেছিল। তিনজন কর্মী আহত। তারপর গাড়িটি থেমে যায়। এরপর ওই গাড়িটি ও আরেকটি ফর্চুনার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। যারা এ কাজ করেছে, তারা কৃষক নয়। তাদের মধ্যে জঙ্গিরা মিশে ছিল।
তবে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, কংগ্রেস, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী এবং বিজেপি সংসদ বরুণ গান্ধী যা শেয়ার করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, গাড়িটি ইচ্ছাকৃতভাবে কৃষকদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। তবে পুলিশ এখনো এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, তারা অরুণ মিশ্রের একটি ভাষণ নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই তারা লখিমপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। মন্ত্রী ওই ভাষণে বলেছিলেন, তার মুখোমুখি হলে কৃষকদের শৃঙ্খলা শেখাতে দুই মিনিট সময় লাগবে।
মন্ত্রীর যুক্তি, ‘আমার পুরো ভাষণ যদি দেখেন, তাহলে দেখবেন, আমি কৃষকদের সামনেই ভাষণ দিচ্ছিলাম। আমি বলেছিলাম, যারা ভারতমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সহ পোস্টার ছেঁড়ে, তারা কখনোই কৃষক নয়। আমি বলেছিলাম, কৃষকদের বদলাতে হবে, নাহলে পুলিশ ও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে গত সোমবার থেকে আটক করে রাখা হয়েছে। লখিমপুর খেরিতে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। রাহুল গান্ধীকেও যেতে দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও দলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে উত্তরপ্রদেশে গেলেন রাহুল গান্ধী। তার সঙ্গে আছেন দুই কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও চরণজিৎ সিং চান্নি, রাজস্থানের নেতা শচিন পাইলট এবং দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল।
এর আগে পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে, অন্য জায়গায় যাওয়ার নাম করে, বহু চেষ্টার পর পুলিশকে এড়িয়ে গ্রামবাসীদের সাহায্যে মৃত কৃষকদের পরিবারের কাছে মঙ্গলবার পৌঁছতে পেরেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেবরা মৃত কৃষকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সমবেদনা জানান। সূত্র: পিটিআই, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।