বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন নির্যাতিতার মা। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেখা যায়, একটি ব্যানার টাঙিয়ে ওই নারী বসে আছেন। ওই নারী জানান, মেয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এখানে এসেছেন তিনি।
নির্যাতিতার মা বলেন, আমার মেয়ে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ৬ নং সিংধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মাহাবুর মুর্শেদ কাঞ্চনের মোহনগঞ্জের বাসায় কাজ করত। স্ত্রী ও মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকা অবস্থায় এক রাতে চেয়ারম্যান তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন চেয়ারম্যানের স্ত্রী বাসায় আসলে আমার মেয়ে তাদের সব কিছু খুলে বলে এবং বাড়ি থেকে চলে আসতে চায়। কিন্তু ঘটনাটি বাইরে জানাজানি হওয়ার ভয়ে চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে টেলিফোনের তার দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তারা দ্রুত আমার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তার আগেই আমার মেয়ে মারা যায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিতে চাইলে তাতেও বাধা দেয় চেয়ারম্যান। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা করার পর ২০২০ সালের ১২ মে আসামিকে কারাগারে পাঠান আদালত। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়ে যান চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে আমি সুবিচার প্রাপ্তির জন্য জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করি। সেটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় অদৃশ্য চাপে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনায় অনীহা প্রকাশ করেছেন।
প্রেস ক্লাবে অবস্থান নেয়া নারী আরও জানান, তার মেয়েকে হত্যার আগে ২০১৮ সালে চেয়ারম্যানের লোকজন তার স্বামীকেও খুন করে। কিন্তু এখনও তিনি ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না। সরকারের উচ্চ মহলের দুই-তিনজন কর্মকর্তার জন্য আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। তাই ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।