Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তাইওয়ানের আকাশে তিন দিনে ১০০ যুদ্ধবিমান চীনের, সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২১, ৫:৩০ পিএম

তাইওয়ানের আকাশে পরপর তিন দিন যুদ্ধবিমান ওড়াল চীন। এই তিন দিনে তাইওয়ানের আকাশসীমা ভেদ করে চক্কর কেটেছে অন্তত ১০০ টি যুদ্ধবিমান। এদিকে, তাইওয়ানে এই ধরনের উস্কানিমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করতে চীনকে বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুধুমাত্র গত শনিবারেই তাইওয়ানের আকাশে উড়েছে ৩৯টি চিনা যুদ্ধবিমান। তাইওয়ানের দাবি, এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ। সাম্প্রতিককালে তাইওয়ানে বারবার হানা দিতে দেখা গিয়েছে চীনা বিমানবাহিনীকে। তবে তিনদিন ধরে যে ভাবে আকাশে দাপিয়ে বেড়িয়েছে চীন, তা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না আমেরিকা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘চীনের সেনাবাহিনীর এই উস্কানিমূলক কার্যকলাপে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা।’ এই ইস্যুতে তাইওয়ানের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। ইন্দো-পেসিফক অঞ্চলে চীন এ ভাবে অস্থিরতা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাইওয়ান যাতে আত্মরক্ষার যথেষ্ট ক্ষমতা তৈরি করতে পারে, তার জন্য আমেরিকা সমর্থন করবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে চীনের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রলায়ের তরফে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার ছিল চীনের ন্যাশনাল ডে। আর ওই দিন তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে চীনের ২২টি ফাইটার জেট, দুটি বম্বার ও একটি অ্যান্টি-সাবমেরিন এয়ারক্রাফট। পরে শুক্রবারেই ফের ১৩টি ফাইটার জেট পাঠায় চীন। রাতের অন্ধকারেও বিমান পাঠিয়েছে তারা।

চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরেই একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বলেই দাবি করে। আর এই ইস্যুতেই সংঘাত দুই দেশের। এলাকাটি কেন্দ্র করে বিদেশি শক্তির সঙ্গেও সংঘাত রয়েছে বেইজিংয়ের। গত জুন মাসেও তাইওয়ানের আকাশ সীমায় দেখা গিয়েছে চীনের যুদ্ধবিমান। পরপর ওড়ানো হয় ২৮ টি যুদ্ধবিমান। একসঙ্গে এতগুলো যুদ্ধবিমান উড়িয়ে কার্যত অধিকারের বার্তা দেয়ার চেষ্টা করে চীন।

জুন মাসেও তাইওয়ানের আকাশসীমার মধ্যে উড়ে যায় একের পর এক যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে অনেকগুলি বোমারু বিমানও ছিল। সে বার পাঠানো করা যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ছিল ১৪টি জে-১৬, ছয়টি জে-১১ যুদ্ধবিমান এবং পরমাণু বোমা নিক্ষেপে সক্ষম এইচ-৬ বোমারু বিমান। এই ঘটনার পর চীন দাবি করে, তাইওয়ান ইস্যুতে বাইরের কোনও দেশের নাক গলানো তারা পছন্দ করছে না। চীনের বিরুদ্ধে অশুভ আঁতাত চলছে বলেও মন্তব্য করা হয়। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ