Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ম নিয়ে সমালোচনার জবাবে যা বললেন মীর

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২১, ১০:১৬ এএম

কলকাতার জনপ্রিয় রেডিও সঞ্চালক ও অভিনেতা মীর আফসার আলি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বরাবর ফুটে উঠে মীরের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। ধর্ম যাই হোক, ছোটবেলা থেকেই আর পাঁচটা শিশুর মতো তিনিও মেতে উঠতেন দুর্গাপূজার আনন্দে। তবু সম্প্রতি দুর্গাপূজার এক বিজ্ঞাপনী প্রচারে দুর্গাপূজার ছোটবেলার স্মৃতি নিয়ে কথা বলতে গিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার শিকার হয়েছেন মীর।

এ ঘটনা মীরের কাছে নতুন নয়। মুসলমান হওয়ায় বার বার এ ধরনের আক্রমণ মীরের সঙ্গে হতেই থাকে। তবে মীরকে কখনওই এই নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি আগে। তবে এবার আর চুপ থাকলেন না মীর। বরং সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ নিয়ে লম্বা পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মীর।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে মীর লিখেছেন, ‘এত যুগ বাদেও মানুষকে বোঝানো গেল না যে ধর্ম যার যার নিজের ব্যাপার কিন্তু *উৎসব* সবার। যাই হোক… বড় একটা শিক্ষা হল আমার। অশেষ ধন্যবাদ তাদের যারা বার বার মনে করিয়ে দেন আমি শুধুই একজন মুসলমান, আর অন্য কোনো পরিচয় নেই মীরের। আপনারা ভালো থাকবেন। বড্ড হতাশ হলাম। আবার।’

উল্লেখ্য, দুর্গাপূজার সেই বিজ্ঞাপনী প্রচারে মীরকে বলতে শোনা যায়, ছোটবেলায় অত্যন্ত খারাপ অবস্থা ছিল তাদের। কিন্তু কোনোবার এমন হয়নি যে বাবা মা নতুন জামা কিনে দেননি তাকে। কিন্তু নতুন জামা আসত শুধু তার জন্যই। বাবা মা কিনতেন না কিছুই। সেই ছোটবেলাতেই মীরের মনে প্রশ্ন জেগেছিল এমনটা কেন হবে?

তখন মীরের বাবা মা তাকে বুঝিয়েছিলেন, যেহেতু সে বড় হচ্ছে, দৈর্ঘ্যে প্রস্থেও বাড়ছেন তাই তার নতুন জামা দরকার। কিন্তু বাবা মা তো বড়ই। তাই তাদের নতুন জামা লাগে না। তখনকার মতো মেনে নিলেও বড় হয়ে মীর বুঝেছিলেন মা বাবার পরিস্থিতিটা।

এই কথাগুলো নতুন করে বলার কারণ মীর চেয়েছিলেন শ্রোতারাও আরেক বার তাদের ছোটবেলায় ফিরে গিয়ে ঝালিয়ে নিক স্মৃতিগুলো। কিন্তু এখানেও কিছু মানুষ দল বেঁধে চলে এলেন মীরকে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার জন্য। মুসলমান হয়ে হিন্দুদের দুর্গাপূজা নিয়ে কথা বলবেন কেন তিনি, কীসের এত মাতামাতি? এমন সব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। বারবার এমন আক্রমণে হতাশ মীর।



 

Show all comments
  • Rauf Khan ২ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৫১ পিএম says : 0
    ধর্ম যার যার উৎসব সবার এর মত ভোগাস আর একটাও নাই। আপনি যখন থেকে দাবি করবেন যে আপনি মুসলিম তখন অবশ্যই ইসলামের রীতিনীতি মেনে চলতে হবে। শুধু মাত্র মুসলিম ঘরে জন্ম নিলেই যে কেউ মুসলমান হয়ে যায় না। এটা তাকে প্রমান করতে হবে তার অন্তরে বিশ্বাস, মৌখিক ঘোষণা এবং কাজেকর্মে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Sakafi ২ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৫১ পিএম says : 0
    মুসলমানদের কোনো ধর্মীয় উৎসবে কি অন্য ধর্মের লোক আসে??
    Total Reply(0) Reply
  • Hʌsɩɓ R Rʌʜɱʌŋ Mʀɩɗʜʌ ২ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৫১ পিএম says : 0
    মিঃ মীরের কাছে প্রশ্ন (ধর্ম যার যার উৎসব সবার) এই কথাটা কি শুধু মুসলিমদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ❓
    Total Reply(0) Reply
  • Adiyan Molla ২ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৫২ পিএম says : 0
    kurbanir eid a koi thake ei kotha?
    Total Reply(0) Reply
  • দীপক সেনগুপ্ত ৪ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৫১ এএম says : 0
    হ্যাঁ,ঈদের উৎসবেও অংশ নেই। শুধু আমি নই,আমার জানা অনেক হিন্দুই ঈদ উৎসবে অংশ নেন। পদ্ধতি জানিনা তাই নামাজ পড়িনা,যেমন মন্ত্র জানিনা তাই পূজা করিনা। উৎসবে অংশ নেওয়া মানে তো সকলের সাথে আনন্দ উপভোগ করা।অসুবিধা কোথায়?এর জন্য তো ধর্ম ত্যাগ করতে হয় না!আরেকটা কথা,মীর দুর্গা পূজার কথা বলেছে,অন্যান্য পূজার কথা বলেনি। কোনো ধর্মকে ছোট না করে বলছি,পাঁচ দিন ধরে দুর্গা পূজার যা জাকজমক জৌলুস তা অন্য কোন ধর্মের অনুষ্ঠানে হয় না।এমনকি হিন্দু ধর্মের অন্য কোন পূজাতেও হয় না।এই পূজাতে গানবাজনা, মন্ডপসজ্জা,আলোকসজ্জা এমন একটা পর্যায়ে যায় যে শিশুদের তো অবশ্যই, নাস্তিকদের মনেও দোলা দেয়। তাই ধর্মের কারণে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করলে শিশুমনে বিভেদের সৃষ্টি হয় যার কুফল আমরা দুই বাংলার সবাই ভোগ করছি।মনে রাখা দরকার, অন্ধ হলে চাঁদের আলো তো নয়ই,সূর্যের আলো দিয়েও কোন কিছু আলোকিত করা যায় না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মীর


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ