Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপির সব কর্মীই এখন নেতা হয়ে গেছেন : অবস্থান কর্মসূচিতে আমীর খসরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২৩, ১২:০১ এএম

বিএনপির প্রত্যেকটি কর্মীই এখন দলকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো নেতা হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়ে আন্দোলন দমন করা যায়নি, যাবেও না। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন দমন করা যায়নি। রিজভীর মতো সৎ নেতাকে জেলে পাঠিয়ে আন্দোলন দমন করা যাবে না। কারণ বিএনপির লাখ লাখ সৈনিক রাজপথে নেমেছেন। এই লাখ লাখ কর্মীর সবাই নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশে সবাই নেতা হয়ে গেছেন। আমাদের প্রত্যেকটি কর্মী এক-একজন নেতা হয়ে গেছেন। সুতরাং নেতাদের বন্দী করে আর আন্দোলন দমানোর সুযোগ নেই।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৪০ লাখ বিএনপি নেতাকর্মী আজকে আসামি। আরে মশাই এই ৪০ লাখ লোক যদি রাস্তায় নামে, অস্তিত্ব থাকবে আপনাদের? অস্তিত্ব থাকবে না। সুতরাং এরা সবাই নেতা হয়ে গেছে আজকে।
তিনি বলেন, আন্দোলন হচ্ছে ভোট চোরের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ মানুষের ভোট চুরি করে বারবার ক্ষমতা দখল করে। মানবাধিকার লঙ্ঘন, খুন, গুম, হত্যা করে। আর এখন বলছে সংবিধান অনুযায়ী নাকি ভোট করবে। আমরাও বলছি তা-ই। সংবিধান বলেছে, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সরাসরি নির্বিঘেœ নির্দ্বিধায় ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার আছে। এটি কি এখন বাংলাদেশে আছে? জোর করে ক্ষমতা দখল করে ভোট চোরের অধীনে ভোট হয়েছে। আর বলছে সংবিধানের কথা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, চোরকে কি কখনো ঘর পাহারার দায়িত্ব দেওয়া যায়? তাহলে যারা ভোট চুরি করে বারবার বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, আইনের শাসন কেড়ে নিচ্ছে, বাক্স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে-তাদের হাতে ভোটের আয়োজন কোনো দিন সম্ভব হবে না। এটা বাংলাদেশের মানুষের সিদ্ধান্ত, চোরকে ঘর পাহারায় দেওয়া যাবে না। চোরকে বিতাড়িত করতে হবে। চোরকে জেলে পাঠাতে হবে। তারপর বাংলাদেশ নিরাপদ।
আমীর খসরু বলেন, বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন। নির্বাচন করতে না দিয়ে রাজনীতি করতে দেওয়ার মানে কী? আগামীতে এই খুন, গুম, হত্যার ১ হাজার ৮০০ মামলায় যদি আপনাদের যুক্ত করা হয়। ৩০৯ আসনের একটিতেও আপনারা নির্বাচন করতে পারবেন না? আপনারা সবাই দুর্নীতিবাজ, সবাই হত্যা, খুন, গুমের সঙ্গে অংশীদার।
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনে খালেদা জিয়ার চেয়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নামে বেশি মামলা ছিলো, তাঁরা ক্ষমতায় এসে সব মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলে তাদের সমস্ত মামলা চালু করা হবে এবং তাদের প্রত্যেকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী বনভোজন করছেন, আর জনগণ খেতে পারেনা। তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচন এ দেশে আর হবে না। গণতন্ত্রের জন্য আবার রক্ত দিতে হচ্ছে,তা লজ্জার। নিরপেক্ষ ভোটের ব্যবস্থা করুন। বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহŸায়ক এম জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ###

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমীর খসরু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ